নিজস্ব প্রতিনিধি,ব্যারাকপুর,১২ জুলাই: সম্প্রতি মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবৈধ নির্মাণ, সরকারি জমি দখল, পুকুর ভরাট এই বিভিন্ন বিষয়ে প্রশাসনকে সক্রিয় হতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মত বিভিন্ন জায়গায় কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। সেই কাজে নেমে এবার অবৈধ ভাবে পুকুর ভরাট করা বন্ধ করলেন গারুলিয়া পৌর সভার কাউন্সিলর ও ব্যারাকপুর ১ এর বিএলআরও। পুকুর ভারাট করে যে সব বাড়ি তৈরি হয়েছে, সেগুলি ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।
দীর্ঘ দিন ধরে গারুলিয়া পৌর সভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে অন্তর্গত লেলিন নগরে একটি বড় পুকুর জমিমাফিয়ারা ধীরে ধীরে বুজিয়ে ফেলছিল। সেটা কাউন্সিলর রবি সাহা ও পৌর প্রধান রমেন দাসের নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসে পৌর কর্তৃপক্ষ। তৎক্ষণাৎ সরজমিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখে পুকুর ভরাট হওয়ার কথা বি এল আর ও কে জানানো হয়। এরপর বিএলআরও দীপঙ্কর রায় এবং স্থানীয় কাউন্সিলর রবি সাহা আইনি কাগজ পত্র নিয়ে এসে ওই পুকুর ভরাট বন্ধ করে দিলেন।
পুকুর কতটা ছিল আর খাস জমি কতটা রয়েছে সেটা মেপে ভরাট হয়ে যাওয়া পুকুর খুঁড়ে পুনরায় আগের রূপে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন বিএলআরও দীপঙ্কর রায়। এই পুকুর ভারট করে যারা বাড়ি করেছে তাদেরও সাত দিনের নোটিস দিয়ে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ায় কথা জানিয়ে দেন বিএলআরও।
এদিন পুকুর ভরাট এর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আসলে ওই পুকুরে যারা জমি কিনে বাড়ি করেছেব তাদের সাথে সাময়িক অশান্তি বাধে সরকারি কর্মীদের ও স্থানীয় কাউন্সিলরের। বিএলআরও দীপঙ্কর রায় বলেন, “আমি পুকুর ভরাট করার অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করতে এসে অভিযোগ যে সত্যি তার প্রমাণ পেয়েছি। এখানে পুকুর এখনো রয়েছে কিন্তু অনেকটা ভরাট করে ফেলে কিছু অংশে বাড়ি করা হয়েছে। কিন্তু এটা অবৈধ। তাই এদের নোটিস পাঠানো হবে যাতে তারা আগামী ৭ দিনের মধ্যে জায়গা ছেড়ে দেন, কারন পুকুরটি আগের রূপে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। পুকুর পুনরায় খনন করার কাজ শুরু হবে।”
স্থানীয় কাউন্সিলর বলেন, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে জমি মাফিয়ারা এই পুকুর ভরাট করছিল, এবার পৌর সভার হাতে উপযুক্ত প্রমাণ আসাতে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে।