মেয়ের জন্মদিনে রক্তদান শিবির করলেন মেদিনীপুরের শিক্ষক

জে মাহাতো, মেদিনীপুর, ৫ ডিসেম্বর:
জন্মদিনকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হলো রক্তদান শিবির। মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা সমাজসেবী ও পরিবেশ প্রেমী শিক্ষক মনিকাঞ্চন রায়ের কন‍্যা আরুশীর জন্মদিনে হল রক্তদান শিবির। আয়োজন করলেন মনিকাঞ্চনবাবুর সহযোগীরা ও বন্ধুরা।

মণিকাঞ্চনবাবুর সহযোগী, বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই রক্তদান শিবিরে যোগদান করেন। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরের বিদ‍্যাসাগর শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডঃ মনোরঞ্জন ভৌমিক, ভাদুতলা বিবেকানন্দ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ডঃ অমিতেশ চৌধুরি, মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ‍্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক ডঃ প্রসূন কুমার পড়িয়া, বিশিষ্ট শিশু চিকিৎসক বি বি মন্ডল পশ্চিম মেদিনীপুর ব্লাড ডোনার্স ফোরামের সভাপতি অসীম ধর, সমাজসেবী গোপাল সাহা, গোদাপিয়াশাল হাইস্কুলের শিক্ষক শিবপ্রসাদ কুন্ডুসহ অন্যান্য বিশিষ্টজন।

শিবিরের সূচনা করে অধ‍্যক্ষ মনোরঞ্জনবাবু বলেন, মনিকাঞ্চনবাবু ও ফাকরুদ্দিনবাবু এই কলেজে একাধিকবার রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন। আগামীদিনেও উনারা এই ধরনের শিবির এখানে করতে চাইলে, কলেজ পাশে থাকবে। এই দিনের কর্মসূচিতে যোগদিতে এগিয়ে আসেন বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন শালবীথি, মেদিনীপুর ছাত্রসমাজ, সংকল্প ফাউন্ডেশান, হেল্পিং হ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি দুস্থের ছায়া, সূর্যাস্তের প্রতিনিধিরা সহ অন্যান্যরা। উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া, প্রতিমা রানা, সুশান্ত ঘোষ, দেবব্রত পাত্র, সুনীতা রায়, নরসিংহ দাস, স্নেহাশিস চৌধুরি, আল্পনা দেবনাথসহ অন‍্যান‍্য বিশিষ্ট ব‍্যক্তিবর্গ।

এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে বিশিষ্ট চিকিৎসক বি বি মন্ডল বলেন, এরকম উদ্যোগ সত্যি একটি বিরল ঘটনা।এর জন্য সাধুবাদ জানাই আরুশির বাবা মনিকাঞ্চন ও মা প্রিয়াঙ্কা রায়কে। ভাদুতলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড.অমিতেশ চৌধুরি বলেন, এরকম কাজ সমাজকে অনুপ্রাণিত করবে। আগামী দিনে এই ধরনের কাজ আরো বেশি বেশি করে হওয়া দরকার। প্রধান শিক্ষক ড.প্রসূন কুমার পড়িয়া বলেন, আগামী দিনে নিজের মেয়েদের জন্মদিনেও এরকম উদ্যোগ গ্রহণের চেষ্টা করবো এই উদীয়য়মান কর্মঠ যুবদের সহযোগিতায় এই কাজ করতে চাই। শিক্ষক মনিকাঞ্চন, আমি সমাজের পাশে সাধ‍্যমত থাকার চেষ্টা করি। এদিনের আয়োজনে ফারুক ভাই,ছাত্র রাজেশ , পীযুষ ,পার্থপ্রতিম, প্রতিমা দিদিরা এভাবে এগিয়ে এসে আমাকে এমন একটা উপহার দেবে সেটা ভাবতে পারিনি। আগামী বছর গুলোতে আমি মেয়ের জন্মদিনে অবশ্যই রক্তদান শিবিরটা চালিয়ে যাবার চেষ্টা করবো। এদিনের এই রক্তদান শিবিরে ২৩ জন রক্তদান করেন। আরুশির বাবা মণিকাঞ্চন রায় ও মা প্রিয়াঙ্কা রায় দুজনেই রক্তদান করেন। সকল রক্তদাতা ও অতিথিদের উপহার হিসেবে একটি করে গোলাপ চারা তুলে দেন মনিকাঞ্চন রায়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিক্ষিকা শবরী বসু।উল্লেখ্য গ্রিফিন্স ইন্টারন‍্যাশানাল স্কুলের ছাত্রী আরুশীর এটা ছিল নবম জন্মদিন। এদিনের কর্মসূচিতে আরুশীর ঠাকুরদা তরণী রায়ও উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *