আশিস মণ্ডল, বীরভূম, ৪ মে: রক্তাল্পতায় ভুগছে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। রক্তের অভাব মেটাতে এবার কোথাও বিয়ের দিনে আবার কোথাও ক্লাবের উদ্বোধনে রক্তদান শিবির করলেন উদ্যোক্তারা। আর রক্তদাতাদের উৎসাহিত করলেন বীরভূম ভলান্টিয়ারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার রাতে বিয়ের আসরে রক্তদান করলেন তারাপীঠের রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা রক্ষাকর চক্রবর্তী ওরফে মান্তু। তাঁর সঙ্গে রক্তদান করলেন আরও ১৪ জন যুবক। তাদের মধ্যে ১২ জন এবারই প্রথম রক্তদান করলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নব দম্পত্তিকে আশীর্বাদ জানালেন রামপুরহাটের বিধায়ক, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন ভলান্টিয়ারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজেশ মিশ্র।
মান্তু বলেন, “মাড়্গ্রাম থানার মিল্কিডাঙা গ্রামের প্রীতি মণ্ডলের সঙ্গে আমার বিয়ের ঠিক হয়। মেয়ে পক্ষ তারাপীঠে উঠে এসে বিয়ে দিয়েছে। আমি দীর্ঘ দিন থেকে রক্তদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বিয়ের আসরে রক্তদান করবো। সেই মতো আমরা ১৫ জন রক্তদান করলাম। আমার বাবা শ্যামা চরণ চক্রবর্তীও রক্তদান করেছেন। মূলত রক্তদানে আগ্রহ বাড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে”।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নব দম্পত্তিকে আশীর্বাদের পাশাপাশি উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বার্তা ছড়িয়ে পড়লে রক্তের অভাবে কেউ মরবে না বলে জানান আশিসবাবু।
এদিন ক্লাব উদ্বোধনের অনুষ্ঠানেও রক্তদান করা হল মাড়্গ্রাম থানার নিংহা গ্রামের। নিংহা যুব সংঘ নামে ক্লাবের সম্পাদক মুন্না মণ্ডল বলেন, “বীরভূম ভলান্টিয়ারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজেস মিশ্র আমাদের রক্তদানে উৎসাহিত করেছেন। এছাড়া রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের চিকিৎসক এবং কর্মীরা যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। আগামী দিনেও আমরা রক্তদান শিবির করবো।