আমাদের ভারত, হুগলী, ২ নভেম্বর: রেল রাজ্য বৈঠকের পর অবশেষে অবরোধ উঠল রিষড়া স্টেশনে। লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে সকাল থেকে অবরোধে সামিল হন নিত্যযাত্রীরা। রেলের স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে নিত্যযাত্রীদের উঠতে দিতে হবে এমন দাবিও জানানো হয় নিত্যযাত্রীদের তরফ থেকে। এদিন নবান্নে বৈঠকের পর সরকারি আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন তারা। যাত্রীদের দাবি, রেল পুলিশের তরফ থেকে আশ্বাস মিলেছে আপাতত ট্রেনে উঠতে কোনও সমস্যা হবে না নিত্য যাত্রীদের।
অন্যদিকে হুগলীর বৈদ্যবাটিতেও প্রায় বারো ঘন্টা রেললাইন ও জিটি রোড অবরোধ করে রাখেন নিত্যযাত্রীরা। এদিন সকাল থেকে বহুবার আবেদন নিবেদন করেও টলানো যায়নি অবরোধকারীদের।
অন্যদিকে দীর্ঘক্ষণ ধরে অবরোধের ফলে চাপে ছিল সব পক্ষই। শেষ পর্যন্ত ট্রেন চালানোর আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিতে সন্মতি দেয় নিত্য যাত্রীরা। সকাল থেকেই অবরোধকারীদের বক্তব্য ছিল আমরা করোনাতে মরতে চাই, তবে না খেতে পেয়ে নয়। বাড়ির সবাই না খেতে পেয়ে মরে যাবে আমরা কাজে যেতে না পারলে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের ২০০ টাকা রোজের মধ্যে ১০০ টাকা যদি গাড়ি ভাড়া দিতেই চলে যায় কি দিয়ে চলবে সংসার? ট্রেন চালাতেই হবে, কেন রেল পুলিশ হয়রানি করবে? এর প্রতিকার চাই। এই সমস্ত দাবি তুলে হুগলীর বৈদ্যবাটী রেল স্টেশনে সকাল সাতটা থেকে অবরোধ শুরু করেন শ্রমজীবী মানুষরা। এখন তাদের এই নিত্য যন্ত্রনা কবে লাঘব হয় সেদিকেই তাকিয়ে তারা।