সুশান্ত ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগণা, ২১ অক্টোবর: লকডাউনের জেরে সাত মাস লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ। ফলে সমস্যায় পড়েছেন দৃষ্টিহীন, প্রতিবন্ধী হকার সহ দুঃস্থ প্রতিবন্ধীরা। এরা কেউ ধূপকাঠি বা খবরের কাগজ বিক্রি করতেন। আবার কেউ ট্রেনে বা বাজারে গান গেয়ে পয়সা রোজগার করতেন।
গত সাত মাসে ট্রেনের প্রতিবন্ধী হকাররা পড়েছেন চরম সমস্যায়। একদিকে রোজগার বন্ধ অন্যদিকে প্রতিবন্ধী হওয়াতে নানান সমস্যা। এই সমস্ত প্রতিবন্ধী হকারদের কথা মাথায় রেখে শারোদৎসব আনন্দ ভাগ করে নিতে এগিয়ে এল বেশকিছু প্রতিষ্ঠিত দৃষ্টিহীন মানুষ। এদের মধ্যে কেউ শিক্ষক বা সরকারি কর্মী। বুধবার দৃষ্টিহীনদের, দুঃস্থ প্রতিবন্ধী মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখে সাধারণ মানুষও সহযোগিতার করতে এগিয়ে এল। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর থানার গুমা, নিবেদিতা পল্লি এলাকায় এমনই এক উদ্যোগ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। শারদ উৎসবে ২৫০টি প্রতিবন্ধী পরিবারের হাতে বস্ত্র ও রেশন বিতরণ করল গুমা প্রেরণা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে এক সংগঠন। আর এই সংগঠনের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল হাবড়া দুই নম্বর ব্লকের বিডিও অশোকনগ্র থানার পুলিশ প্রশাসন সহ সাধারণ মানুষ। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গণ্ডি ছাড়িয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় আড়াইশো প্রতিবন্ধী হাজির হন এই অনুষ্ঠানে। যারা দৃষ্টিহীন তাদের পরিবারকে দেওয়া হয় নতুন বস্ত্র ও এক মাসের রেশন, আর যারা শারীরিক প্রতিবন্ধী কাদের প্রত্যেককে দেওয়া হয় নতুন বস্ত্র। এই লকডাউনে এক মাসের রেশন ও নতুন জামা-কাপড় পেয়ে খুশি সকলে।
সংগঠনের সদস্য তারক চন্দ্র বলেন, আমার মতো দৃষ্টিহীন ভাই বোন ও ছাত্রছাত্রীরা রয়েছেন যারা অর্থের অভাবে পড়াশোনা করেও চাকরি পায়নি তাঁদের জন্য এই উদ্যোগ। এদের মধ্যে অনেকেই হকারি করেন, কেউ বা ট্রেনে ট্রেনে গান গেয়ে টাকা রোজগার করেন। এই লকডাউনে সেই সব অসহায় মানুষের একটু সাহায্য করতে পেরে খুব খুশি।