সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৪ নভেম্বর: বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বাঁকুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনে সাফল্য বিজেপির। শাসক তৃণমূলের সঙ্গে টক্কর দিয়ে কার্যকরী সভাপতির পদ ছিনিয়ে নিল গেরুয়া শিবির। এনিয়ে জেলা ক্রীড়া ও রাজনৈতিক মহল সর্বত্র ছিল জোর জল্পনা।

জেলা ক্রীড়া সংস্থা পরিচালনার জন্য ২৮টি পদের নির্বাচন হয় গতকাল। তৃণমূলের প্যানেলের ২৬ প্রার্থী জয়ী হলেও কার্যকরী সভাপতি ও একটি লাইফ মেম্বারের পদ দখল করে বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাঁকুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কার্য্যকরী সভাপতি পদ তৃণমূল শিবিরের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ায় খুশির হাওয়া বিজেপিতে। বিজেপি শিবিরের মনোনীত প্রার্থী সুদীপ চক্রবর্তী ওরফে মুন্না তৃণমূল প্রার্থী গৌতম দাসকে ২৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। এছাড়া লাইফ মেম্বার পদে বিজেপির প্যানেলের একজন প্রার্থী বিজয়ী হন। মোট ২৮ জনের পদের বাকি ২৬টি পদে যথা রীতি বিজয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা।
বিজয়ী সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, এই জয় বিজেপির ২০২৬- এর বিধানসভা জয়ের রাস্তা প্রশস্ত করল।
অন্যদিকে, বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি দানার দাবি, ডিএসএ’র এই জয় দিয়ে বিহার থেকে বাঁকুড়ায় জয়ের প্রবাহ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০২৬ সালে তা সারা বাংলাজুড়ে প্রবাহিত হবে। এই জয়ে এদিন কার্যত বিজয় উৎসবে মাতেন গেরুয়া শিবির। বিজেপি শিবিরকে এই জয় বিধানসভা ভোটের আগে বাড়তি উৎসাহ যোগাবে তা বলাই বাহুল্য।
তবে, তৃণমূল শিবিরের একাংশের দাবি, গেরুয়া শিবিরের জয় আসলে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফলেই। দলবিরোধীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষপাতী তারা।

