আমাদের ভারত, ৭ জানুয়ারি: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বাইক মিছিলকে কেন্দ্র করে ধন্দুমার কান্ড হয় রবিবার হুগলির ডানকুনিতে। পুলিশের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। প্রতিবাদে ডানকুনি জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপি। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি সামাল দিতে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ।
লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই বাইক মিছিল ছিল বিজেপির। বিজেপির সেই যুব সংকল্প যাত্রা শুরু হয় রবিবার বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার উদ্যোগে। তাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু ডানকুনিতে বিজেপির এই যুব সংকল্প যাত্রা আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশ জানায় বাইক মিছিলের অনুমতি নেই। তখন বিজেপির তরফে এক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে মিছিল করার কথা বলা হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, পায়ে হেঁটে মিছিল করার কথা বলতে তারা অনুমতি দিলেও সেই মিছিল শুরু হতেই পুলিশ বিনা প্ররোচনায় তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবিরোধ করে বিজেপি।

ডানকুনি থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে ডোমজুড় থানার কাছে বাইক মিছিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ডানকুনি হাউজিং মোড়েই পুলিশ ব্যাড়িকেড করে যেতে বাধা দেয়। আর তাতেই প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে ধুন্ধুমার কান্ড বেধে যায় পুলিশের। ব্যারিকেড ভেঙ্গে সুকান্ত মজুমদার ও দলের কর্মীরা যখন এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তখন তাদের বাধা দেওয়া হয়। তাতেই তারা সেখানে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান। জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়। পরবর্তীতে বিক্ষোভকারীদের তুলতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, তৃণমূলের দলদাস পুলিশ বিনা কারণে তার দলের কর্মীদের মারধর করেছে, আটক করার চেষ্টা করেছে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, পুলিশ আজ যদি সঠিকভাবে কাজ করতো তৃণমূল কংগ্রেসের বেশিরভাগ নেতারা আজ জেলে থাকতো। পুলিশের কাজ শুধু বিজেপি কর্মীদের আটকানো, সেই কারণে আজ আমাদের মিছিল আটকানো হচ্ছে।পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের দলদাসে পরিণত হয়েছে বলেও দাবি তাঁর।

বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এগোচ্ছিলাম। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের পোশাক পরিয়ে গুন্ডা বাহিনী পাঠিয়ে দিয়েছে।সন্দেশখালিতে পুলিশ ছিল না, আর এখানে এত পুলিশ। পুলিশকে একটাই প্রশ্ন, আমাদের রাজ্যে সভাপতির হাতে তো লাঠি নেই, বোমাও নেই, ইটও তো নেই, তাহলে আমাদের আটকে লাভ কী?
সুকান্ত মজুমদার বলেন,, কোনো প্ররোচনা ছাড়াই পুলিশ আমাদের কয়েকজনকে আটক করেছিল। আমি তাদের ছাড়িয়ে আনি। পুলিশ আমার দুই কর্মীর মাথায় লাঠি মেরেছে। আমি তো অবাক হয়ে যাচ্ছি এরা পুলিশ? না তৃণমূলের গুন্ডা? তারই প্রতিবাদে আমরা বাধ্য হই জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে। পুলিশ কথা দিয়েছে আমাদের যে কর্মীকে মাঠে মারা হয়েছে সেটার বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। সেই প্রতিশ্রুতিতে আমরা অবরোধ তুলে নিয়েছি। প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে থানা ঘেরাও হবে।
বিজেপির এই রাস্তা অবরোধে বেশ কিছুক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।

