সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, বনগাঁ, ১৮ এপ্রিল: করোনার জেরে রক্তাশূন্যতা দেখা দিয়েছে হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে রক্তের জোগান অব্যাহত রাখতে এগিয়ে এল ভারতীয় জনতা দল। যুবমোর্চার বনগাঁ উত্তরের পক্ষ থেকে হাসপাতালে এসে ৩৫ জন রক্ত দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ ব্লাড ব্যাংক মহকুমার কয়েক লক্ষ মানুষের রক্তের চাহিদা মেটায়। এর পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল রক্ত নিয়ে যায় এই ব্লাড ব্যাংক থেকে। দ্রুত পরিষেবা ও ভাল কাজ করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে বিশেষ সম্মান পেয়েছে এই ব্লাড ব্যাংক। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তেই একে একে বাতিল হয়েছে রক্তদান শিবির। লকডাউনের পর থেকে রক্তদান তো দূরের কথা খুব দরকার না থাকলে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছে না মানুষ। এদিকে রক্তের সংকট শুরু হওয়ায় আশঙ্কা বাড়ছে। সম্প্রতি রক্তের চাহিদা মেটাতে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা মানুষকে রক্ত দেওয়ার আহ্বান জানান।
সেই ডাকে সাড়া দিয়ে যুবমোর্চা বনগাঁ পৌরমণ্ডল উত্তরের সভাপতি রাজীব রায়ের নেতৃত্বে বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দেবদাস মন্ডলের উপস্থিতিতে ৩৫ জন সদস্য বনগাঁ ব্লাড ব্যাংকে রক্তদান করেন। বনগাঁ হাসপাতালের একটি ঘরকে অস্থায়ী ক্যাম্প হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। সেই ঘরের বাইরে মুখে মাস্ক পরে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়ান রক্তদাতারা। তারপর একে একে তারা রক্ত দেন।
যুবমোর্চার সম্পাদক নয়নকৃষ্ণ হাজরা বলেন, ‘রাজ্য জুড়ে হাসপাতল, ব্লাডব্যাংক গুলিতে রক্ত সংকট দেখা দিয়েছে। করোনার জেরে রক্তদান শিবিরগুলোও বন্ধ। এর ফলে রক্তের অভাব দেখা দিয়েছে। তাই বনগাঁর মানুষের রক্তের চাহিদা মেটাতে আমরা ৩৫ জন হাসপাতালে এসে রক্ত দিলাম।’