নীল বনিক,আমাদের ভারত, ১২ মে: করোনার যুদ্ধে জয়ী হবার জন্য নিজের জীবনকে বাজি রেখে কাজ করছেন পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী সহ সাফাই কর্মীরা। সমাজকে রক্ষা করতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তারাই আক্রান্ত হচ্ছেন। দেশের বিভিন্নপ্রান্তে চিকিৎসক, সাফাইকর্মীরা ডিউটি শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় নিজের জায়গায় আক্রান্ত হয়েছেন। যেমন নদীয়ার বাসিন্দা কলকাতার এনআরএসের একজন নার্স ডিউটি করে রানাঘাটে নিজের বাড়িতে ফেরার পথে এলাকার বাসিন্দাদের থেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। যা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে রানাঘাটের ছবি যাতে রাজ্যের অন্যকোনও জায়গায় পুনরাবৃত্তি না হয় তারজন্য এগিয়ে এলেন নদীয়ার তাহেরপুরের এ–ব্লকের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কর্মীরা। সোমবার ওয়ার্ড সভাপতি দেবাশিষ দে সহ বিজেপি কর্মীরা করোনার সময় কাজ করে যাওয়া এলাকার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক সুকমল বনিক, ভারতীয় রেলের ড্রাইভার রতন শীল, মেডিক্যাল টেকনলোজিষ্ট রাজা দত্ত সহ তাহের পুর পুরসভার সাফাইকর্মী মনা মজুমদারকে ফুল, মিষ্টি দিয়ে সম্বর্ধনা দেন।
বিকেল পাঁচটা নাগাদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিজেপি কর্মীরা ১০ নম্বর ওয়ার্ডে করোনার সময় কাজ করা সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষের বাড়িতে গিয়ে এই সম্বর্ধনা জানান। কলকাতা পুলিশের পুলিশকর্মী সুরজিৎ নাগ, রাজ্যপুলিশের পুলিশ কর্মী তপন ঘোষ, আশাকর্মী চন্দ্রা দাস, ব্যাঙ্ককর্মী দীপঙ্কর বনিক ও রেশর ডিলার শিখা রায়কে সম্মান জানানো হয়। এছাড়াও সম্মান জানানো হয় ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওঙ্কার নিউজ ও আমাদের ভারতের সিনিয়র রিপোর্টার গোপাল বনিকে।
এব্যাপারে ওয়ার্ডের বিজেপির তাহেরপুর মন্ডলের প্রক্তন সভাপতি কমলেশ চক্রবর্তী বলেন, রানাঘাট সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিচ্ছিন্ন ঘটনা তাহেরপুরে ঘটুক তা আমরা চাই না। পাশাপাশি করোনার যুদ্ধে লড়াই করা সৈনিকদের সামনে থেকে আমরা শ্রদ্ধা জানাতেই এমন কর্মসূচি নিয়েছি বলে জানান কমলেশ চক্রবর্তী।