আমাদের ভারত, নৈহাটি, ২ ফেব্রুয়ারি: নৈহাটিতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সন্তোষ যাদবের খুনের পরবর্তীকালে নৈহাটির গৌরীপুর অঞ্চলে বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙ্গচুরের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ করা হয়। শুধুমাত্র ভাঙ্গচুর নয়, গরিফা সিং ভবনটিতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আর এই সিং ভবনটি গত লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচনে ব্যবহার করেছিল বিজেপি।
রবিবার নৈহাটির গৌরীপুর অঞ্চলে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি-সহ দলীয় কার্যালয় ভাঙ্গচুর, অগ্নি সংযোগের ঘটনার পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার জানান, তাদের দলীয় কার্যালয়টি পুড়িয়ে দেওয়ার পর পুলিশ এখনো পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসেনি। তার পাশাপাশি শাসক দলের তরফ থেকে যে জনরোষের কথা বলা হয়েছে তা উড়িয়ে দিয়ে ভাড়াকরা রোস বলে আখ্যা দেন সুকান্তবাবু। প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার অলক রাজোরিয়া এই খুনের ঘটনাটি ব্যক্তিগত আক্রোশের ফলে হয়েছে বলে যে দাবি করেছেন তাতে সিলমোহর দেন সুকান্তবাবু।
অপরদিকে প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং জানান, নতুন সিপি আসায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা ওয়েলকাম ঠাকুর বলে ফেসবুকে পোস্ট করছে। যদিও এই খুনের পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের একটা গুন্ডা আর একটা গুন্ডাকে মেরেছে বলে দাবি করেন প্রাক্তন সাংসদ।