জে মাহাতো, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২০ সেপ্টেম্বর: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না থানার খিদিরপুর গ্রামের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী দীপক মন্ডলকে শনিবার রাতে বোমা মেরে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
ওই বিজেপি কর্মী শনিবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে একটি ফুটবল প্রতিযোগিতা দেখতে গিয়েছিলেন। খেলা শেষ হওয়ার পর বাড়ি ফেরার সময় মোটর বাইক নিয়ে কয়েকজন যুবক তার পথ আটকায়। তাকে ঘিরে ধরে ব্যাপক মারধর করে এবং তাকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। বোমার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ওই বিজেপি কর্মীর দেহ।
দীপক বাড়িতে না ফেরায় তার খোঁজ শুরু করেন পরিবারের লোকজন। গভীর রাতে তারা জানতে পারেন সবং এলাকায় রাস্তার ওপর দীপকের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। সবং থানার পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সবং গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ময়না এবং সবং থানার পুলিশ বিজেপি কর্মী দীপক মন্ডলের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনার পর রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয় অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের চাপান-উতোর।
তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি নবারুণ নায়েকের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই বোমা ছুড়ে বিজেপি কর্মী দীপক মন্ডলকে খুন করেছে। এর আগেও ময়না এলাকায় বেশ কয়েকবার বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। তৃণমূলের সন্ত্রাসের ফলে এখনো শতাধিক কর্মী ঘরছাড়া রয়েছেন।
রাজ্য বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ বলেন, বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনাটি তৃণমূলের পূর্ব পরিকল্পিত। তাকে দীর্ঘদিন ধরে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। রাজ্যে সন্ত্রাস ও আতঙ্ক ছড়ানোর জন্যই তৃণমূল এভাবে বিজেপি কর্মীদের প্রতিনিয়ত খুন করছে।
তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মুখপাত্র মধুরিমা মন্ডল বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, বিজেপি কর্মীদের মধ্যে গন্ডগোল হওয়ার ফলেই দীপক মন্ডলের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।