পঞ্চায়েতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা চাওয়ায় এক বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে দাঁ নিয়ে তাড়া করার অভিযোগ গাইঘাটা থানায়, গ্রেফতার ওই কর্মী

সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১ জুলাই: মিথ্যা মামলায় পুলিশকে কাজে লাগিয়ে ফের এক বিজেপি কর্মীকে জেলে ঢোকাল শাসকদল, এমনই অভিযোগ বিজেপির। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা থানায়। তৃণমূলের অভিযোগ, গাইঘাটার ইছাপুর ১নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কার্তিক ঘোষ এদিন সকাল ৬টা নাগাদ তার পেট্রোল পাম্পে যাওয়ার সময় আমকোলা এলাকায় তার উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় শৈলেন ঘোষ নামে ব্যক্তি। এমনই অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শৈলেন ঘোষ বিজেপি কর্মী বলে জানাগেছে।

বিজেপি নেতা রাজকুমার মিত্র বলেন, শৈলেন ঘোষ আমাদের সক্রিয় কর্মী। দিন কয়েক আগে ভারতীয় জনতা পার্টির পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে ইছাপুর ১নম্বর পঞ্চায়েতের ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা চাইতে যায় শৈলেনবাবু। ওই দিন পঞ্চায়েতে ঢোকা নিয়ে শৈলেনবাবুর সঙ্গে তৃণমূল নেতা কার্ত্তিক ঘোষের বচসা বাধে। তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে সরব হন শৈলেনবাবু। তাঁকে রুখতেই তৃণমূল নেতা কার্ত্তিক ঘোষ ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে তাঁকে জেলে ঢুকিয়ে বলে অভিযোগ।

তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কার্ত্তিক ঘোষ বলেন, সকালে নিজের পেট্রোল পাম্পে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। অনেক দূর থেকে কে বা কার গালিগালজ করছিল, আমি কোনও দিকে কান না দিয়ে পাম্পের দিকে যাচ্ছিলাম। পেছনে দিকে দেখি দাঁ হাতে গালিগালাজ করতে করতে আমার দিকে আসছে। সেই সময় কয়েক জন মহিলা আমাকে সাবধান করলে আমি পাম্পে ঢুকে যাই। তবে শৈলেন ঘোষ তাঁর থেকে ৫০ গজ দূর থেকেই গালিগালাজ করছিল তা তিনি স্বীকার করেছেন। এই ঘটনার পর গাইঘাটা থানায় শৈলেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে আজ বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।

তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাস্তায় দাঁড়িয়ে গালিগালাজ করছিল ঠিকই, কিন্তু শৈলেনের হাতে কোনও দাঁ ছিল না। তাঁর পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, শুধু মাত্র পঞ্চায়েতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন, এই রাগে তৃণমূল নেতা কার্ত্তিক ঘোষ মিথ্যা অভিযোগ করে পুলিশকে কাজে লাগিয়ে তাঁকে জেলে ঢোকালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *