আমাদের ভারত, ১৬ মে: এর আগেও করেছেন। এখন লোকসভা ভোট চলাকালীনও নিয়োগ দুর্নীতির ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা উচিত বলে দাবি করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বৃহস্পতিবার কলকাতায় দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এক প্রশ্নের উত্তরে এই দাবি করেছেন তিনি। একই সঙ্গে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে মমতার বুধবারের অবস্থানকেও কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে তাঁর দাবি, এখনো পর্যন্ত রাজ্যে যে ১৮টি আসনে ভোট হয়েছে তার মধ্যে ১২টি বিজেপি পাবে।
নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যতই বলুন যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন সেই চাকরি যাবে। যারা যোগ্য তাদের চাকরি থাকবে। কিন্তু কার আমলে চাকরি গেছে সেটা দেখা জরুরি। তাঁর দাবি, এই দুর্নীতি মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর জেলে যাওয়া উচিত। যদি উনি বাইরে থাকেন তাহলে ভারতের আইন ও বিচার ব্যবস্থার অপমান।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়া জোটকে বাইরে থেকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেছেন। এই ঘোষণাকে কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থা হল, গায়ে মানে না আপনি মোড়লের মতো। তাঁর কথায়, ইন্ডির পিন্ডগর আগেই চটকে গেছে। আর এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের কথা বলছেন।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, বিজেপি ৪০০-র বেশি আসনে জিতে গেছে। এই প্রসঙ্গে তাঁর আরও দাবি, রাজ্যের যে আঠারোটি আসনে ইতিমধ্যে ভোটগ্রহণ হয়েছে তার মধ্যে বারোটি বিজেপি পাবে। তবে ছয়টি আসন বিজেপি কেন পাবে না তা তিনি পরে জানাবেন বলেছেন।
আজ সুকান্ত মজুমদার সন্দেশখালি নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, স্টিং অপারেশনের ভিডিও প্রকাশ করে বারবার সন্দেশখালির ঘটনা মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা করছিল তৃণমূল। গতকালের একটি ভিডিও প্রমাণ করে দিয়েছে আসলে সেখানে কী ঘটেছে। সেই ভিডিওতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও তার স্বামী স্বীকার করেছে সন্দেশখালির ঘটনা সত্যি। গতকাল রাতে এক মহিলাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে এলাকার তৃণমূল নেতা দীপক মল্লিক। বিজেপি কর্মীদের তরফে আইনি সহায়তা দিতে আজ এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা হলে পুলিশ আটকেছে। তাঁর কথায়, তৃণমূলকে বলব এই ফেক ভিডিও খেলা বন্ধ করুন। সন্দেশখালির ঘটনা যে সত্যি সেটা স্বীকার করুন। আজ আবার সন্দেশখালিতে পুলিশ ও তৃণমূল আঁতাতের অভিযোগ করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, সন্দেশখালিতে পুলিশকে ব্যবহার করে গোটা ঘটনাকে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে ঘটনা উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করছে। নির্বাচনী বৈতরণী পার করার জন্য সন্দেশখালির ঘটনা মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা করছে।