আমাদের ভারত, ২৬ ফেব্রুয়ারি: তৃণমূলের কোনো জনসমর্থন নেই সাগরদিঘিতে, তাই বীরভূম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এনে ভয় দেখিয়ে ভোট লুট করার চেষ্টা করতে চাইছে তৃণমূল। কিন্তু বিজেপির প্রতি সাগরদিঘির মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া রয়েছে। এমনকি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষও তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাই তার বিশ্বাস এবার সাগরদিঘিতে বিজেপি একটা আশ্চর্য ঘটাবে।
সুকান্ত অভিযোগ করেন, প্রশাসন ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করছে না। কিন্তু এভাবে গণতন্ত্রে বেশি দিন টিকে থাকা যায় না। জনগণ প্রতিরোধ করবে, জনগণ উচিত শিক্ষা দেবে। তার আরও অভিযোগ, সাগরদিঘিতে প্রচুর সংখ্যায় বহিরাগত নিয়ে এসেছে শাসক দল।এই বিষয়ে তারা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে। কমিশনকে আরো শক্ত হাতে এদের দমন করতে হবে, এদের সাগরদিঘি থেকে বের করে দিতে হবে। প্রচারে বেরিয়ে সাগরদিঘি থেকে বহিরাগতদের পিটিয়ে বের করে দেওয়ার নিদান দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সুকান্ত এদিন বোখারা, বন্যেশ্বর প্রভৃতি অঞ্চলের একাধিক গ্রামে যান। প্রচারের মাঝে গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ ক্যারাম খেলেন। কোথাও ঘোরেন পায়ে হেঁটে, কোথাও ইভিএম নিয়ে বাড়ি বাড়ি যান।
দ্বিতীয় দিন সাগরদিঘিতে প্রচার করে সুকান্ত বলেন, “সাগরদিঘিতে প্রচারে এসে অবতপূর্ব সাড়া মিলেছে। শুধু তাই নয়, এবার লক্ষ্যণীয় বিষয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষও আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। হাত মেলাচ্ছেন। তাই আমাদের বিশ্বাস এবার সাগরদিঘিতে বিজেপি একটা আশ্চর্য ঘটাবে। এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে সাগরদিঘিতে। বিজেপিও ভালো ভোট পাবে।”
তিনি আরো বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির আঁতাত কোনোদিনও হবে না, কারণ জাতীয় স্তরে আমাদের লড়াই কংগ্রেসের সঙ্গেই। এখানে বিজেপির লড়াই পুরনো ভোট ধরে রাখার।