পঞ্চায়েত ভোটকে মাথায় রেখে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নিল বিজেপি

আমাদের ভারত, হুগলি, ১৬ ডিসেম্বর: পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটকে মাথায় রেখে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নিল বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। শুক্রবার ব্যান্ডেলে বিজেপির প্রদেশ পদাধিকারীদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের এই বৈঠকে হাজির ছিলেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় ওজিএস বিএল সন্তোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী সহ মোট ১৮৪ জন রাজ্য নেতা। এদিন সকাল এগারোটা থেকে বৈঠক শুরু হয়। চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।

এদিন ওই বৈঠকে পঞ্চায়েত ভোটের রণকৌশল ঠিক করা হয়। বিগত বিধানসভা ভোটের সময় কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্য নেতাদের লোকসভা এবং বিধানসভা এলাকায় বুথস্তরে যে সমস্ত কাজ দিয়েছিলেন সেগুলো তারা ঠিকঠাক ভাবে পালন করেছিলেন কিনা। যদি না করে থাকেন, তবে সমস্যা ঠিক কি ছিল সেটা জানতে চাওয়া হয়। বুথস্তরে মানুষের চাহিদা কি? সেই চাহিদার উপর ভিত্তি করে আন্দোলন সংগঠিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি রাজ্যেজুড়ে বুথ কমিটি গঠনের উপর জোড় দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বিধানসভা-ভোট পরবর্তী হিংসায় যে সকল কর্মীদের মনবল ভেঙে গিয়েছে। যারা ঘরে ঢুকে গিয়েছেন, তাদের মনবল চাঙ্গা করার উপর জোড় দেওয়া হয়। পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোটে জিততে গেলে এবং লোকসভায় আসন বাড়াতে হলে বুথ ও মণ্ডল স্তরে সংগঠনকে আরও মজবুত করার কথা বলা হয়। পাশাপাশি বুথস্তরে কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এদিন ওই বৈঠকে সবাইকে মিলে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় ওজিএস বিএল সন্তোষ।

পদাধিকারীদের বৈঠক থেকে বেড়িয়ে এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আসানসোলের ঘটনা পুলিশের ব্যর্থতা। আমি কিম্বা শুভেন্দু অধিকারী জেড ক্যাটাগরির প্রটেকটেড। আমরা কোথাও গেলে রাজ্যের সিকিউরিটি ডিরেক্টরকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়। তাই পুলিশ এটা বলতে পারে না। আমাদের জানানো হয়নি। অনুমতি নেওয়া হয়নি। এটা শুধুমাত্র পুলিশের অজুহাত। মানুষের মৃত্যুর জন্যে পুলিশ প্রশাসনই দায়ী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দায়ী।

একই সঙ্গে দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে সুকান্ত বাবু সাংবাদিকদের বলেন, এটা আপনাদের মনে হতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয় না পরস্পর পরস্পরকে লক্ষ্য করে কিছু বলেছে। তবুও যদি কোনও বক্তব্য পরস্পর বিরোধী হয়ে যায়। সেই সমস্ত বক্তব্য থেকে নিজেদের নিরস্ত করা উচিৎ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *