BJP, Mamata, উত্তম ব্রজবাসী এবং এনআরসি নিয়ে মমতার ভূমিকায় কটাক্ষ বিজেপি-র

আমাদের ভারত, ১০ জুলাই: “উত্তম ব্রজবাসী এবং এনআরসি নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বলছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লজ্জা হওয়া উচিত মাননীয়ার!” বৃহস্পতিবার এভাবে মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করল রাজ্য বিজেপি।

কোচবিহারের দিনহাটার সাদিয়ালের কুঠি গ্রামে বাস উত্তম ব্রজবাসীদের। এলাকার সবাই ব্রজবাসী, তাই পাড়ার নাম বৈরাগী টারি। তৃণমূলের দাবি, উত্তম কোনওদিন অসমেও যাননি। তাও কেন এই নোটিস? উঠছে প্রশ্ন।

রাজ্য বিজেপি এদিন জানিয়েছে, “আসুন দেখে নিন আসল সত্যটি:
🔹 ডিসেম্বর ২০২৪ – উত্তম ব্রজবাসীর নামে একটি নোটিশ জারি করা হয়, তবে অসম সরকার এর কোনও সরকারি প্রতিলিপি দেয়নি।
🔹 জানুয়ারি ২০২৫ – উত্তম ব্রজবাসী একটি নোটিশ পান।
🔹 ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ – অসম সরকার জানায় যে, রাজবংশী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলি প্রত্যাহার করা হবে।
🔹 ১১ এপ্রিল ২০২৫ – অসম সরকার সরকারিভাবে সব মামলা প্রত্যাহার করে নেয়।
🔹 জুলাই ২০২৫ (প্রথম সপ্তাহ) – তৃণমূল মন্ত্রী উদয়ন গুহ ও সিভিক পুলিশ মণিরুল ভয় দেখান উত্তমের পরিবারকে, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেন।

এবার শুনুন উত্তম ব্রজবাসীর পরিবারের বিস্ফোরক অভিযোগ-
১) সিভিক পুলিশ মণিরুল তাদের বাড়িতে এসে বলে থানার বড়বাবু নোটিশ নিয়ে আসবে। পরে বড় বাবু এলেও কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি।
২) পরিবারকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়—কোনো কারণ ছাড়াই, সেখানে উদয়ন গুহ উপস্থিত ছিলেন।
৩) পরের রাতেই পঞ্চায়েত প্রধান, তার স্ত্রী ও বিডিও এসে পরিবারকে বিডিও অফিসে নিয়ে যান।
৪) সেখানে তাদের জোর করে কিছু কাগজে সই করানো হয়, যা উদয়ন গুহর নির্দেশে করা হয় বলে পরিবারের দাবি। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়—সাহায্য ও নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
৫) উদয়ন গুহ সাফ জানিয়ে দেন, যেন তাঁরা আর কখনও অসমে না যান।
৬) মণিরুল মোবাইলে একটি নোটিস দেখান, কিন্তু হার্ড কপি দেননি। আবার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
৭) স্ত্রীর দাবি—নথিতে উত্তম কুমার ব্রজবাসী নামে লেখা ছিল, স্বাক্ষরও মিলছিল না। আপত্তি জানালে সিভিক পুলিশ হুমকি দেয়— না মানলে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে।
৮) দীর্ঘদিন ধরে উত্তম ব্রজবাসীকে জাতি শংসাপত্র দেয়নি রাজ্য সরকার, অনেক কাগজপত্র চাওয়া হয়। কিন্তু মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসি-র বিষয় তুলতেই, কর্মীরা দৌঁড়ে গিয়ে এক দিনের মধ্যে শংসাপত্র দিয়ে দেন!

এই হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এনআরসি নাটকের আসল চেহারা। শুধুমাত্র ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির কথা মাথায় রেখে প্রান্তিক মানুষগুলোর সমস্যাকে, মিথ্যে ভাবে প্রচার করে চলেছে রাজ্য সরকার।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *