সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৭ মে: এক দিকে করোনা আতঙ্ক, অন্য দিকে আমফানের দাপটে মাটিতে মিশে গিয়েছে ঘর। আট দিন কেটে গেলেও পঞ্চায়েত থেকে কোনও সাহায্য মেলেনি। প্রতিবাদে ঝড়ে গৃহহীন বিজেপি সমর্থকদের বিক্ষোভ। উত্তর ২৪ পরগণার গোপালনগর চৌবেড়িয়া ১ পঞ্চায়েতে প্রায় ২০০ কাঁচা বাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। অভিযোগ, গোপনে বেছে বেছে তৃণমূল সমর্থকদের ত্রাণ ও ত্রিপল দিচ্ছে পঞ্চায়েত। অথচ বিরোধীদের কাউকে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে না। এর প্রতিবাদে পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখায় গৃহহারা বিজেপি সমর্থকরা।
বুধবার রাতে আমফানের দাপটে চৌবেড়িয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কুটিবাড়ি, পাবনাপাড়া, গুপিনাথপুর ও বরিশাল পাড়ায় প্রায় ২০০ বাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। বিজেপি সমর্থকদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত থেকে বেছে বেছে ত্রাণ ও ত্রিপল শুধু মাত্র তৃণমূল সমর্থকদের দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির কোনও সমর্থককে এই ত্রিপল দেওয়া হয়নি। এমনকি ক্ষতি পূরণের যে ফর্ম বিজেপি সমর্থকরা জমা দিয়েছিল তা ছিঁড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী অলোক নন্দীর বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে বিজেপি সমর্থকরা এদিন পঞ্চায়েতর সামনে বিক্ষোভ দেখায়।
বিজেপি নেতা বিপুল বিশ্বাস, ব্রজেন দাস বলেন, এক দিকে করোনার জেরে এই গ্রামের মানুষ কর্মহীন, অন্য দিকে আমফানের দাপটে গৃহহীন হয়ে পড়েছে তারা। খোলা আকাশের নিচে বাস করছে। বৃষ্টিতে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও নেই। অথচ পঞ্চায়েত এই সময় রাজনীতি করছে ত্রাণ ও ত্রিপল নিয়ে।
বিজেপি নেতা স্বপন মজুমদার বলেন, পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী অলোক নন্দী প্রভাভশালী। তাঁর স্ত্রী প্রধান হলেও পঞ্চায়েত তিনিই চালনা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে কাটমানি থেকে অনেক অভিযোগ আছে। প্রশাসন সব জেনেও নিরব। অলোক নন্দীকে ফোন করে তাঁর অভিযোগের কথা বলতেই তিনি রেগে বলেন, তিনি ফোনে কথা বলবেন না।