আমাদের ভারত, ১৩ নভেম্বর: পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই গোষ্ঠী কোন্দল বাড়বে তৃণমূলে। আগে এমনটা বলেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এবার তার নিজের ভবিষ্যৎ বাণী মিলিয়ে নেওয়ার বার্তা দিলেন তিনি। কিন্তু তৃণমূলের এই কোন্দলের ফলে পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থীর সংখ্যা হুড়হড় করে বাড়বে কিনা বা দলবদলের হিড়িক পড়ে যাবে কিনা, সেটা সময় বলবে।
রবিবার বিজেপি রাজ্য সদর দপ্তরে সাংগঠনিক বৈঠক হয়। দলের সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, প্রত্যেকটি জেলায় প্রত্যেকটি অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেস গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জরাজীর্ণ হয়ে যাবে।পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই এই ধরনের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বাড়বে। আর এভাবেই তৃণমূল শেষ হয়ে যাবে।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই ভবিষ্যৎবাণী আগেও করেছি। আমি এখনো বলছি মিলিয়ে নেবেন। তার কারণ পঞ্চায়েত ভোটে সদস্য হওয়া মানে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে সার্টিফিকেট দেওয়া। আর এই সার্টিফিকেট গরু কয়লা বা যা পারবে যেখানে পারবে ইচ্ছেমতো পাচার করার সার্টিফিকেট। যখনই অর্থনৈতিক স্বার্থ জড়িয়ে যায় তখনই দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
এদিন কুনাল ঘোষকে একহাত নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসের মহান নেত্রী সম্পর্কে কোনো রকম মন্তব্য করেননি। কিন্তু কুনাল ঘোষ শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন। আমি এখানে বলব আদিবাসী সম্প্রদায়ের একজন রাষ্ট্রপতি হয়েছেন তার সম্বন্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করা হল, সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন নিজের মুখ খুললেন না? সাড়ে তিন বছরের জেল খাটা একটা বাচাল ঘোষকে পাঠিয়ে দিয়েছেন মুখ খোলার জন্য।
বিজেপির তরফে বারবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে বাচাল লোক বলা হয়। সেটা কি কুরুচিকর রাজনীতি নয়? সে প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস যে রাজনীতি শুরু করেছে তাতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে ধরে ধরে মারধর করছে না সেটাই বড় কথা।
অখিল গিরির মন্তব্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় এফআইআর নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতারা। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমাদের বেলায় এফআইআর হয় না, আর তৃণমূলের বেলায় হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর নামে পর্যন্ত এফআইআর করা হয়েছে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে এভাবে অপমান করা হচ্ছে। জনগণ কি ছেড়ে দেবে ? এরপর দেখবেন তৃণমূলের হয়ে জনগণ রাস্তায় নামবে।