মোদী মন্ত্রিসভার রদবদলের সময় সুদূর গোপীবল্লভপুরে সাংগঠনিক সভা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ

অমরজিৎ দে, ঝাড়গ্রাম, ৭ জুলাই: যখন মোদী মন্ত্রিসভায় বাংলার নতুন চার মুখের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে টানা টানা উত্তেজনা চলছে রাজ্য জুড়ে। তখন রাজ্যের প্রত্যন্ত জেলা ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে সাংগঠনিক সভা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্যের নতুন চার মন্ত্রী নিয়ে মাতোয়ারা পদ্ম শিবির। তখন কর্তব্যে অবিচল থেকে সংগঠনকে মজুবত করার দায়িত্বকে আরও বেশি করে নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন রাজ্য সভাপতি।

সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য তথা ঝাড়গ্ৰাম জেলা জুড়ে বিজেপির যে রাজনৈতিক প্রভাব ছিল ভোট পরবর্তী সময়ে তা অনেকটাই ক্ষয়িষ্ণুতার পথে। একাধিক রাজ্যস্তরীয় নেতা বিধায়ক থেকে লোকাল নেতারা বেসুরো হয়ে পড়ছেন।এই পরিস্থিতিতে জঙ্গলমহল তথা বিজেপির একসময়ের আঁতুড়ঘর গোপীবল্লভপুরে সংগঠন ধরে রাখা রাজ্য বিজেপি নেতাদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।তাই বিজেপি কর্মীদের ভোট পরবর্তী সময়ে মনোবল বৃদ্ধি করতে বুধবার এই প্রথম গোপীবল্লভপুর সফর করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এদিন তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বিজেপিকে ভেঙে দেওয়া অত সোজা নয়।’এদিন বিজেপির যুব মোর্চা সভাপতির পদ ছাড়েন সৌমিত্র খাঁ। তিনি ফেসবুক পোস্টে তাঁর ইস্তফার কথা জানান। যার প্রতিক্রিয়ায় দিলীপ ঘোষ বলেন,’আমার কাছে সৌমিত্র খাঁর কোনও পদত্যাগপত্র আসেনি। এলে বলব।’ যদিও পরে আবার পদত্যাগ প্রত্যাহার করে নেন সৌমিত্র খাঁ বলে খবর।

ভোট পরবর্তী হিংসায় দলের কর্মীদের পাশে নেতারা দাঁড়ায়নি বলে অভিযোগ? উঠেছে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে। তার উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন,’যেখানে গন্ডগোল হচ্ছে। দলের নেতারা সেখানে যাচ্ছেন। পুলিশি অত্যাচার চলছে। গুণ্ডাদের অত্যাচার চলছে। তার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করছি। সংগ্রাম করছি।’

কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,’এখনও কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা অন্য দলে যোগ দেয়নি। তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে। কেস দেওয়া হচ্ছে। তবুও আমরা আমাদের কর্মীদের ধরে রেখেছি। বিজেপিকে ভাঙা অত সোজা নয়।’

এদিনের সভায় দিলীপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যে বিজেপির সহ সভানেত্রী ভারতী ঘোষ ,ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সভাপতি তুফান মাহাতো, সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *