আমাদের ভারত, ৫ জানুয়ারি: সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ‘বাধা দেওয়া’, তাদের উপর ‘হামলা’, তাদের এবং একাধিক প্রচারমাধ্যমের গাড়ি ভাঙ্গচুরের ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।সন্দেশখালিতে স্থানীয় ও তৃণমূলের ভূমিকায় যে অসন্তুষ্ট তা স্পষ্ট করে দেন বিচারপতি।
তৃণমূল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য নিয়ে তাঁর তীব্র সমালোচনা করেছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছেন, তা আপত্তিকর এবং এক্তিয়ার বহির্ভূত। বিচারপতির চেয়ারকে উনি অপমান করছেন। ওঁর উচিত চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে আসা। না হলে প্রধান বিচারপতির উচিত ওঁকে সতর্ক করা।”
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করল বিজেপি। বিজেপি-র মুখপাত্র সজল ঘোষ সংবাদমাধ্যমে বলেন, “বাংলায় যে আইনশৃঙ্খলার সুষ্ঠু পরিস্থিতি নেই তা এই ঘটনাতেই প্রমাণিত। বাংলাকে সিরিয়া-পাকিস্তান বানিয়ে ছেড়েছে তৃণমূল। শাসক দলের প্রশ্রয়ে কিছু জায়গা গুণ্ডা বদমায়েশদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে। তাদের আবার পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থাও করে রেখেছে সরকার। শুক্রবারের ঘটনার প্রতিক্রিয়া ভাল হবে না।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে ইডির একটি দল সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায়। কিন্তু সেখানে যেতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নিগৃহীত হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর তদন্তকারীরা।

