সাথী দাস, আমাদের ভারত, পুরুলিয়া, ১ অক্টোবর:
কৃষি বিলের সমর্থনে পুরুলিয়া জেলার জয়পুর, বাঘমুন্ডি এবং পাড়া বিধানসভা এলাকায় পদযাত্রা করল বিজেপি। জয়পুর, বাঘমুন্ডিতে দলীয় পদযাত্রায় সামনের সারিতে থেকে অংশ নিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এবং সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।
এদিন, জয়পুরের পর বিকেলে বৃষ্টির মধ্যেই বাঘমুণ্ডিতে অংশ নিয়ে বিরোধীদের এক হাত নেন সাংসদ জ্যোতির্ময়। আলু পেঁয়াজ সহ কৃষি পণ্যের কালোবাজারি রুখতে কৃষিবিল বলে তিনি দাবি করেন। এই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “১৯৫৫ সালের একটা বস্তা পচা বিল ছিল। কৃষকদের স্বার্থে তা পরিবর্তন করা হল এই নতুন সংশোধনীতে। যেটাতে ফঁড়ে, দালাল ও সিন্ডিকেটদের রমরমা চলছিল আগে। সেটা এবার বন্ধ হয়ে যাবে। আর এই বিল পাস হওয়াতে সমস্যা তৈরি হয়েছে এই রাজ্যে তৃণমূল, অন্যান্য জায়গায় কংগ্রেস, সিপিএম এবং আমাদের এক সময়ের শরিক আকালি দলেরও। কারণ, আগে কৃষকদের কম টাকা দিয়ে কোটি কোটি টাকা এরা রোজগার করত।”
আলুর বর্তমান দামের প্রসঙ্গ টেনে সরাসরি রাজ্য সরকারকে দায়ী করেন সংসদ জ্যোতির্ময়। তিনি বলেন, ” মার্চ মাসে কৃষকরা ৬ থেকে ১০ টাকা দাম পেয়েছেন প্রতি কেজি আলুতে। এখন সাধারণ মানুষ তৃণমূল সরকারের সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। কেন্দ্রের নতুন কৃষি নীতি ও কৃষি আইনের জন্য এইসব কালোবাজারি বন্ধ হয়ে যাবে। সরাসরি কৃষকরা নিজেদের মতো করে দাম পাবেন এবং দেশের যে কোনো প্রান্তের বাজারে বিক্রি করতে পারবেন।”
এদিন বিজেপির এই পদযাত্রায় জয়পুরে হনুমান মন্দির থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় স্থানীয় রানি বাঁধের কাছে। বৃষ্টির মধ্যেই বিকেলে বাঘমুন্ডিতে প্রায় ৪ কিলোমিটার পদযাত্রা হয়। শেষে দুটি জায়গাতেই পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সাংসদের সঙ্গে ছিলেন জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি রবিন সিং দেও, জেলা সাধারণ সম্পাদক শংকর মাহাতো সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। জয়পুর এবং পাড়াতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন বিজেপি জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী।