মল্লারপুরে বিজেপির মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার

আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ৩১ অক্টোবর: পুলিশ হেফাজতে কিশোরের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তদন্তের দাবিতে সমস্ত নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যের সমস্ত থানায় স্মারকলিপি জমা দেবে তৃণমূল। কলকাতার রাজপথে মিছিল করবে দল। তবে শনিবার বিজেপির ডাকা বনধ ছিল সর্বাত্মক।

বৃহস্পতিবার রাতে বীরভূমের মল্লারপুর থানার লকআপে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় শুভ মেহেনা (১৪) নামে এক কিশোরের। পুলিশের দাবি, সে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু তাদের আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীদের দাবি, তিনদিন ধরে আটকে রেখে পুলিশ মারধর করে। পুলিশের মারে মৃত্যু হয় শুভর। একই দাবি বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের। বিজেপির দাবি নিহত কিশোরের পরিবার তাদের সমর্থক। এই দাবিতে শনিবার মল্লারপুর শহরে ১২ ঘণ্টার বনধোর ডাক দেয় বিজেপি। সেই সঙ্গে সৌমিত্র খাঁর নেতৃত্বে থানা ঘেরাও কর্মসূচি নেওয়া হয়। এদিন সকালেই বিজেপি পার্টি অফিসে পৌঁছে যান সৌমিত্র খাঁ। সেখান থেকে মিছিল করে মল্লারপুর বাজার হয়ে থানার উদ্দেশ্য হাঁটতে থাকেন। থানা থেকে ২০০ মিটার দূরে ব্যারিকেড করে সৌমিত্র খাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধুন্দুমার কান্ড বেঁধে যায়। পরে দলের জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিজেপি নেতৃত্ব রাস্তার উপর বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।

সৌমিত্র খাঁ বলেন, “ওই কুশোরকে মেরে ফেলা হয়েছে। যেহেতু ওই কিশোরের পরিবার বিজেপি করে। তাই অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে এই কাজ করা হয়েছে। রাজ্যে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। আমরা চাই অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে বরখাস্ত করা হোক। বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে দিতে হবে”। তাঁর দাবি, পুলিশ যদি অপরাধী না হত তাহলে ওই কিশোরের মা বাবাকে ভোর রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যেত না। পুলিশ এবং শাসক দল মিলে তাদের মুখ খুলতে দেওয়া হচ্ছে না। শনিবার ভোরেও তার বাবা মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা পুলিশের এই নক্কারজনক ঘটনার শাস্তি চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *