আমাদের ভারত, ১৯ আগস্ট: “ভোটের মুখে ভাতার কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই প্রকল্প পুরো ধাপ্পাবাজি। কারণ মুখ্যমন্ত্রী এই টাকা কোথা থেকে দেবেন, কত টাকা বাজেট বরাদ্দ হবে তার কোনও নির্দিষ্ট রূপরেখা নেই।” মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন রাজ্য মুখপাত্র অ্যাডভোকেট দেবজিৎ সরকার।
এদিন বক্তব্যের শুরুতেই তিনি রাজ্য সরকারের কর্মশ্রী ভাতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, কোভিড কালে যখন পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউনে বিশেষ ট্রেন শুরু করেছিল তখন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সেই ট্রেনকে ‘করোনা ট্রেন’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন।
দেবজিৎবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ২২ লক্ষ। কিন্তু আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তাতে করে সংখ্যাটা ৪০ লক্ষ হতে পারে। যাঁরা ভালো বেতনের টাকা বাইরে রোজগার করেন, তাঁরা কেন আসবেন সেটা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি এই প্রকল্পের বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্ন রাখেন সরকারের কাছে।
১. ভাতা দেবে ভালো কথা কিন্তু কতজনকে দেবে?
২. কোন খাত থেকে কত বরাদ্দ হবে?
৩. যথাযথ হিসেব পরীক্ষা হয়েছে কিনা
৪. পরিযায়ী শ্রমিকের মাপকাঠি কী? কোন জীবিকা গুলির ক্ষেত্রে টাকা দেওয়া হবে কোনগুলির ক্ষেত্রে হবে না।
৫. এর আগে একাধিক বার দেখা গেছে যাদের পাওয়া দরকার তাঁরা পাননি। তৃণমূলের লোকজন পেয়েছেন। আবাস যোজনার বাড়ি হোক বা আম্ফানের আর্থিক দুর্নীতি – ভুরি ভুরি তথ্য সামনে এসেছে। এই ঘোষণা করে ভোটের আগে আসলে ঘুরপথে তৃণমূলের ক্যাডারদের হাতেই টাকা তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে সরকার।
৬. সরকার কোর্টে দাঁড়িয়ে বলছে, হুজুর ডিএ দিতে পারব না। আর অপরদিকে সরকারি টাকাগুলি নয়ছয় করছে। এই টাকা কোথা থেকে আসবে?
দেবজিৎবাবু বলেন, এই টাকা দেওয়ায় আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু সরকারি কোষাগারের টাকা যাতে তৃণমূলের ক্যাডারদের হাতে না যায়। নাহলে এই প্রকল্পকে আমরা ধাপ্পাশ্রী প্রকল্পই বলব।