BJP, Barajora, দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা বিল না মেটানোয় বিপাকে পরিবার, বড়জোড়ায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১৯ জুলাই: কারখানায় কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম শ্রমিকদের চিকিৎসার বিল না মেটানোয় বিপাকে শ্রমিকদের পরিবার। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবিতে বড়জোড়ায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

অভিযোগ, কারখানা কর্তৃপক্ষ বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জখম শ্রমিকদের চিকিৎসার বিল মেটাচ্ছেন না। সেই কারণে উপযুক্ত চিকিৎসা না করেই তাদের ছুটি দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন শ্রমিকদের বাড়িতে ফোন করে বলা হচ্ছে হাসপাতালের বিল মিটিয়ে রোগীদের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য। এই অবস্থায় উদ্বিগ্ন পরিবারের লোকজন হাসপাতালে গেলে তাদের সঙ্গে রোগীদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তাদের দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিল না মেটালে রোগীদের সাথে দেখা করতে দেওয়া হবে না। বিজেপির বড়জোড়া মন্ডল সভাপতি গোবিন্দ ঘোষ এই অভিযোগ জানিয়ে বড়জোড়ার বিধায়ক ও ঘুটগোড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দায়িত্বজ্ঞান হীনতার অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনার জেরে এদিন বড়জোড়া চৌমাথা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পাশাপাশি জেলাশাসকের কাছেও একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তারা।

বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলের ঘুটগোড়িয়ায় অর্জুন দাস এন্ড সন্স নামে একটি কারখানায় গত ৬ জুলাই সন্ধ্যায় চুল্লি ফেটে গলিত তরল লোহায় ঝলসে যান ৯ জন শ্রমিক। তাদের প্রথমে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৮ জনকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে এখনও ৪ জন শ্রমিক ভর্তি রয়েছেন।

বিজেপির যুব নেতা সোমনাথ কর বলেন, কারখানার মালিক হাসপাতালের বিল না মেটানোয় জখম শ্রমিকরা সুস্থ না হলেও ছুটি দিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। রোগীদের সাথে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার দিন বিধায়ক ও প্রধান শ্রমিকদের সব দায়িত্ব নিয়েছিলেন, এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাই রাস্তা অবরোধ করে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি।

এব্যাপারে বিধায়ক অলক মুখার্জি বলেন, বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছেন। আমরা রোজ শ্রমিক পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। বিজেপিকে খবরে ভেসে থাকতে হবে তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। কিন্তু আমরা সবসময় ওদের পাশে আছি। হাসপাতালে যা বিল হবে কারখানা কর্তৃপক্ষ তা দিতে বাধ্য হবে।

পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে কারখানা মালিকের যদি কোনো গাফিলতি থাকে তবে তা মেটানোর ব্যবস্থা করবে। এরপরই অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *