সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, বনগাঁ, ৭ জুন: বিজেপি নেতা-কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করছে পুলিশ। এই অভিযোগে শনিবার রাত ১১টা থেকে উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা থানা ঘেরাও করে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিজেপির দুই সাংসদ ও বিধায়ক সহ নেতা কর্মীরা।
বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিত দাসের নেতৃত্বে গাইঘাটা থানার গেটের সামনে বসে পড়েন কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন, বিষ্ণুপুরের সাংসদ তথা বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ, বাগদার বিধায়ক দুলাল, জেলার সহ সভাপতি দেবদাস মণ্ডল সহ নেতা কর্মীরা।
বিজেপির অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যেয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী বকচাড়া পাড়ুই পাড়া এলাকায় গ্রামবাসীদের মিথ্যে প্রতুশ্রুতি দিয়ে সাদা কাগজে সই করাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় বিজেপি সদস্য অপর্ণা মণ্ডল। কি কারণে সই করানো হচ্ছে তা জানতে গেলে, তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে প্রথমে বচসা বাধে। অপর্ণা মণ্ডলকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে গাইঘাটা থানার পুলিশ। পুলিশ উত্তেজনা থামিয়ে তৃণমূল কর্মীদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। গাইঘাটা থানার পুলিশ অপর্ণাদেবীকে থানায় যেতে বলে। গাইঘাটা থানায় বিজেপি সদস্য অপর্ণা মণ্ডল সহ এলাকার বাসিন্দারা গেলে পুলিশ তাঁকে সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে। মহিলা পুলিশ ছাড়াই অপর্ণাকে আটক করা হয় বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে রাত ১১টা থেকে থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিজেপি সাংসদ সহ নেতা কর্মীরা। রবিবার ১২টা নাগাদ সাংসদরা থানায় গেলে অপর্ণা মন্ডলকে ছেড়ে দিলেও বাকি দু’জনকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়।
সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেন, জেলা জুড়ে দুষ্কৃতীদের মদত দিচ্ছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর মদতে পুলিশ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বিজেপি সমর্থকদের জেলে ঢোকাছে। যদিও খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ফোনে পাওয়া যায়নি।