আমাদের ভারত, কোচবিহার, ৬ ফেব্রুয়ারি:কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের রামপুর এলাকায় বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙ্গচুর, বিজেপি কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। আজ রামপুর অঞ্চলে ঢুকতে যান কয়েকজন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। অভিযোগ, তাদের সঙ্গে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ছিল। সেই সময় গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশে বিজেপির একটি পার্টি অফিসে ভাঙ্গচুর চালায় তৃণমূল। পাশাপাশি বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা জনরোষের ফলে গ্রামে ঢুকতে ভয় পাচ্ছিলেন। অনেকবার গ্রাম পঞ্চায়েতে ঢোকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তারা। বিজেপির অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের জড়ো করে গ্রাম পঞ্চায়েতে ঢোকে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যরা এবং এই ঘটনার পর এলাকায় বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙ্গচুর করা হয়। তাদের কয়েকজন কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি।
বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক “সঞ্জয় চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, আজ দুষ্কৃতীদের নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ঢোকে তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্য। এই সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে জনরোষে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ঢুকতে পারছিলেন না, আজ দুষ্কৃতীদের নিয়ে তারা গ্রাম পঞ্চায়েতে ঢোকেন এবং বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙ্গচুর করে,”।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের নেতা মানিক দে বলেন, “নিজেরা নিজেদের পার্টি অফিস ভাঙ্গচুর করে তৃণমূলকে দোষারোপ করছে, এই ঘটনার পেছনে তৃণমূল কোনোভাবেই জড়িত নয়,”।