আমাদের ভারত, ২ এপ্রিল: ফের অন্য রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এবার তিনি গোয়ায় আটকে পড়া শ্রমিকদের আবেদনে সাড়া দিয়ে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে দিলেন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া প্রায় এক হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি।
লকডাউনের জন্য বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছেন এ রাজ্য থেকে যাওয়া শ্রমিকরা। তাদের বেশির ভাগই দিনমজুরের কাজ করেন। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ থেকে প্রায় ২০০ জন গোয়ায় গিয়েছেন। অনেকেই সেখানে পরিবার নিয়ে গেছেন। কিন্তু লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর তারা প্রায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। এই অবস্থায় বিভিন্নজনকে তাঁরা ফোন করে সাহায্যের আবেদন করছিলেন। কিন্তু কেউ তাদের আবেদনে সাড়া দেননি বলে ওই শ্রমিকরা এক ভিডিও বার্তায় জানান। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের ওই বাসিন্দা তারপর যোগাযোগ করেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে। তার সঙ্গে যোগাযোগ করার পরেই তিনি শ্রমিকদের চাল, ডাল, তেল, নুন, চিনি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
সুকান্তবাবু জানান সেখানকার বিধায়ক এবং সাংসদকে ফোন করেই তিনি এই ব্যবস্থা করেছেন। শুধু গোয়ায় নয় ইতিমধ্যে তিনি প্রায় ১০০০ মানুষকে এইভাবে সাহায্য করেছেন। তারা সকলেই দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে বিভিন্ন রাজ্যে গিয়েছেন কাজের জন্য। মহারাষ্ট্র, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ এবং কর্নাটকে আটকে পড়া এরকম এক হাজার শ্রমিকের প্রতিদিনের খাবারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সুকান্তবাবু জানান লকডাউন ঘোষণার আগেই ম্যাঙ্গালোরে অনেকেই গিয়েছেন চিকিৎসা করাতে। কিন্তু তারপর আর তারা ফিরতে পারেননি। এদিকে তাদের টাকাও শেষ, হোটেলেও তাদের রাখতে চাইছে না। এই অবস্থায় তিনি সেখানকার বঙ্গীয় সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বঙ্গীয় সমাজ সেইসব মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসেন। তারা খাবার দাবারের ব্যবস্থা করেদিয়েছেন। এমনকি হোটেলেও যাতে তারা বিনা পয়সায় থাকতে পারেন তার ব্যবস্থাও করেছেন। এজন্য বঙ্গীয় সমাজের সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুকান্তবাবু। এই ব্যাপারে সাংসদকে সাহায্য করছেন জেলার যুব মোর্চার সদস্যরা। তাঁর নির্দেশে যুব মোর্চার জেলা সভাপতি অভিষেক সেনগুপ্তের নেতৃত্বে এই টিম কাজ করে চলেছে।