আমাদের ভারত, ২১ মার্চ: মহারাষ্ট্র এবং কেরলে আটকে পড়া ৩০০ শ্রমিকের খাবারের ব্যবস্থা করে দিলেন বিজেপির বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তাদের পৌঁছে দিলেন চাল, ডাল, আটা, চিনি, তেল, নুন। সাংসদ এই অসহায় শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোয় তাঁরা একটি ভিডিও বার্তায় তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের বহু মানুষ, যারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেন তাঁরা ফিরতে পারেননি। অনেকেই অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তাদের মধ্যেই কিছু মানুষকে খাবারের ব্যবস্থা করে দিলেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। দক্ষিণ দিনাজপুরের গোপালবাটি থেকে প্রায় ১১০ জন শ্রমিক গিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রে। তাঁরা পুনে এলাকায় রাজামিস্ত্রীর কাজ করছিলেন। কিন্তু লকডাউন ঘোষণার পর তাঁরা আর ফিরতে পারেননি। এদিকে তাদের খাবার দাবার সব শেষ হয়ে গেছে। কোনও উপায় না পেয়ে তাঁরা যোগাযোগ করেন সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে। সুকান্তবাবু দ্রুততার সঙ্গে তাদের খাবার দাবারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে সুকান্তবাবু জানান, এই সংবাদ পাওয়ার পরই তিনি মহারাষ্ট্রের ওই এলাকার বিধায়ক সিদ্ধর্থ শিরোল’কে ফোন করেন। এছাড়া মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে কেউ টুইট করে বিষয়টি জানান। এরপর এই বিজেপি বিধায়ক আটকে পড়া ১১০ জন শ্রমিকের কাছে চাল, আটা, চিনি, তেল, নুন পৌঁছে দেন।
কেরলেও প্রায় ২০০ জন শ্রমিককে খাবার দাবারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন সাংসদ। তিনি বলেন, কেরলে আমাদের সংগঠন মজবুত নয়। তাই ওই সব এলাকার তিন কংগ্রেস সাংসদকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে জানান। এই তিন কংগ্রেস সাংসদই তাঁর অনুরোধে ঐ অসহায় শ্রমিকদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই ঘটনায় তিনি যথেষ্ট আপ্লুত তিনি বলেন, কেরলে করোনার মোকাবিলায় দলমত নির্বিশেষে সব মানুষ এগিয়ে এসেছে, কিন্তু আমাদের রাজ্যে এটা দেখা যায় না।
সুকান্তবাবু জানান, বিভিন্ন এলাকায় যেসব মানুষ অসহায় অবস্থায় আছেন তাদের জন্য বালুরঘাটে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়া ফেসবুকেও ফোন নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই নম্বর ধরেই বিভিন্ন এলাকা থেকে অসহায় মানুষরা ফোন করছেন এবং তাদের সাধ্যমতো সাহায্য করা হচ্ছে।