প্রদীপ কুমার দাস, আমাদের ভারত, ১৩ এপ্রিল: জনধন যোজনার টাকা নিয়ে মিথ্যা রটনা বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই করোনার ভয় উপেক্ষা করে ব্যাঙ্কগুলিতে মহিলাদের ভিড় উপচে পড়ছে। এই অভিযোগ বিজেপিত বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের। তাঁর আর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বদনাম করতেই শাসকদলের পক্ষ থেকে মিথ্যা খবর বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
লকডাউন ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বেশকিছু ঘোষণা করেছেন সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য। তার মধ্যে রয়েছে উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাস সরবরাহ এবং জনধন যোজনায় মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে ৫০০ টাকা দেওয়ার কথা। জানানো হয়েছে আগামী তিন মাস ৫০০ টাকা পাবেন মহিলারা। তিনমাসে মোট ১৫০০ টাকা পাবেন। এই ঘোষণার পর প্রথম কিস্তির টাকা তুলতে ব্যাঙ্কগুলির সামনে উপচে পড়ছে ভিড়। ঘন্টার পর ঘন্টা মহিলারা সেখানে দাঁড়িয়ে থাকছেন। অনেকে টাকা তুলতে না পেরে বিরক্ত হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এই লাইনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে না ফলে যেকোনো মুহূর্তেই করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, এই গন্ডগোলের জন্য শাসক দলকে দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ মানুষের ভেতরে কোশলে প্রচার করা হয়েছে এই টাকা এখনই না তুললে, তা ফেরত চলে যাবে। এ ছাড়া তৃণমূল সমর্থকদের দ্বারা পরিচালিত ফেসবুকের বেশ কিছু গ্রুপে এই প্রচার চালানো হচ্ছে, এখনই টাকা না তুললে ফেরত চলে যাবে।
ফলে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে মহিলারা ব্যাংকের সামনে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। এছাড়া অনেকেই উজ্জ্বলা যোজনার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন। উজ্জ্বলা যোজনায় একটি গ্যাস নেওয়ার পর দ্বিতীয় গ্যাসের টাকা জমা পড়বে। কিন্তু জনধন যোজনার ক্ষেত্রে এমন কোনো নিয়ম নেই। সেখানে যেদিন খুশি টাকা তোলা যাবে।
সুকান্তবাবু জানান, এ ব্যাপারে আজই তিনি কেন্দ্রীয় অর্থপ্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলেছেন। কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, এরকম কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছে, আগামী আগামী তিন মাস পর পর ৫০০ টাকা জনধন প্রকল্পে মহিলাদের একাউন্টে ঢুকবে। সেই টাকা তোলার জন্য কোনও তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই, যখন যখন খুশি এই টাকা তুলতে পারবেন।
সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, আসলে প্রধানমন্ত্রী গরিব মানুষকে সাহায্য করায় তারা দু’হাত তুলে নরেন্দ্র মোদীকে আশীর্বাদ করছেন। এইজন্য ভয় পেয়ে গেছে শাসক দল। তাই তারা প্রধানমন্ত্রীর বদনাম করতে বাজারে সুকৌশলে দিয়েছে, টাকা না তুললে চলে যাবে। আর তাতে আতঙ্কিত হয়ে মহিলারা লাইনে দাঁড়াবে, এতে গন্ডগোল হবে এবং তারা বিরক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীকেই দোষারোপ করবে। আসলে তৃণমূল কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে তাদের জনভীত্তি হারানোর ভয় পেয়েছে। তাই মানুষকে তারা বিভ্রান্ত করছে। জনধন যোজনার প্রাপকদের কাছে সুকান্তবাবুর অনুরোধ, আপনারা কেউ বিভ্রান্ত হবেন না যখন খুশি টাকা তুলতে পারবেন, কোনও অবস্থাতেই টাকা ফেরত যাবে না।