আমাদের ভারত, ১০ ফেব্রুয়ারি:তীব্র শীতের পরোয়া না করে যারা কৃষি আইনেরর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা আদপে কৃষক নন। তিনটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থের বিনিময়ে এই প্রতিবাদ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। আর শকুনি মামার মত তাদের ইন্ধন দিচ্ছে কংগ্রেস। বুধবার লোকসভার অধিবেশনের শুরুতেই রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদজ্ঞাপন জবাবে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরি। তার বক্তব্য অনুযায়ী, কৃষি আন্দোলনকারীরা কৌরব এবং কংগ্রেস তাদের শকুনি মামা।
কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, দিল্লির গাজীপুর সিংঘু সীমান্তে যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা আসলে সিপিআই ও সিপিআইএমের নেতাকর্মী সদস্য। দেশের তিনটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই আন্দোলন চালানোর জন্য টাকা যুগিয়ে যাচ্ছে তাদের। যদিও এই তিন রাজ্যের নাম ও মুখ্যমন্ত্রীদের নাম তিনি উল্লেখ করেননি। কৃষক আন্দোলনকারী সেজে থাকা এই বিক্ষোভকারীদের ইন্ধন জোগানোর জন্য কংগ্রেসকে তিনি শকুনি মামা বলে তীর্যক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলছেন, কংগ্রেস শকুনি মামার মত কৃষকদের উস্কে দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে
লোকসভায় এদিন রমেশ বিধুরির কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে শকুনি মামা মন্তব্যকে সমর্থন করেন বিজেপির আর এক সাংসদ রিতা বহুগুণা জোশী। অন্যদিকে অখিলেশ যাদব প্রধানমন্ত্রীর আন্দোলনজীবী মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বলেন, কৃষক আন্দোলন সমর্থনকারীদের যদি আন্দোলনজীবী বলা হয়, তবে যারা আজকাল রাজ্যে রাজ্যে গিয়ে চাঁদা আদায় করছেন তাদেরকে কি বলব? চাঁদাজীবী?
অন্যদিকে ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আব্দুল্লাহ বলেছিলেন, “সরকারের কাছে আমার একটাই অনুরোধ কৃষি আইন তো কোনও খুদাই কিতাব অর্থাৎ ধর্মগ্রন্থ নয়, যে তাকে বদলানো যাবে না। যাদের জন্য এই আইন তাদেরই যখন এতে মত নেই তখন সরকার কেন নমনীয়তা দেখাবে না? কেন কৃষকদের কথা শুনবে না? কেন তাদের সঙ্গে কথা বলবেন না? সরকারকে আমি জোড়হাতে অনুরোধ করবো আমরা প্রত্যেকেই এই দেশের মানুষ। দেশের প্রতি যদি আমাদের শ্রদ্ধা থেকে থাকে তবে দেশবাসীর প্রতিও শ্রদ্ধা থাকা উচিত। আর তাদের সমস্যা হলে তার সমাধান করার দায়িত্ব নেওয়া উচিত।”