আমাদের ভারত, ১৯ জুন: প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হল দিল্লি এইমসে। দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে
আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। উনি মাল্টি অর্গান সাপোর্ট সিস্টেম ও লো ফ্লো অক্সিজেন সাপোর্টে ছিলেন।
৬০ বছরের অভিজিতবাবু ভুগছেন একিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস এবং গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টিনাল সেপসিসে। গত শনিবার হঠাৎই বমি ও তীব্র পেটে ব্যথা শুরু হলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন তাঁর অবস্থার উন্নতি সেভাবে হয়নি। বিপদ কেটেছে বলা যাচ্ছে না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন। তাই দিল্লির এইমস হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা চালানোর কথা ভাবা হয়।
পরিবারের সম্মতিতে ও দলের তরফে সিদ্ধান্ত নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ তাকে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বিজেপি সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে
অভিজিতবাবুকে কলকাতা থেকে এয়ার লিফটে রাজধানী নিয়ে যাওয়া হয়। সেই ট্রান্সফারে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে সোমবার হাসপাতালে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, মঙ্গলবার হাসপাতালে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে দেখে গিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সাংসদ ভর্তি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সচিবালয় থেকে
অভিজিতবাবুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। জানানো হয়েছিল প্রয়োজন হলে পিএমও পাশে থাকবে।
বিচারপতি হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়ে বিশেষ ভাবে জনপ্রিয় হয়েছিলেন তিনি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি বিচারপতি পদ থেকে অবসর নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তমলুক আসন থেকে জয়ী হয়ে সাংসদ হন।
চিকিৎসকদের মতে একিউট প্যানক্রিয়াটাইটিসে পেটের তীব্র যন্ত্রণা শরীরের অন্য অংশ ছড়িয়ে পড়তে পারে। অনেক সময় ব্যাথা পেট, বুক পর্যন্ত পৌঁছায়, সঙ্গে হয় বমি। অন্যদিকে গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টনাল সংক্রমণ গুরুতর হলে অন্ত্র ও খাদ্যনালীতে জটিলতা তৈরি হয়, ক্যান্সার পর্যন্ত হবার সম্ভাবনা তৈরি হয়।