আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ৯ মার্চ: শুক্রবার রাতে করণদিঘী বিধানসভার আলতাপুরে বিজেপির বুথ সভাপতি রাজকুমার দাসের বাড়িতে একদল দুষ্কৃতি আক্রমণ করে। তাঁর স্ত্রীকে মারধর করা হয়েছে এবং বাড়ির ঠাকুরের মূর্তিও ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আক্রমণকারীরা সকলেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বলে অভিযোগ করেছেন প্রহৃত গৃহকর্ত্রী। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
রাজ্য বিজেপি-র তরফে একগুচ্ছ ছবি ও ভিডিও দিয়ে এক বিবৃতিতে মিডিয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অভিযোগ করা হয়েছে, “রাত প্রায় ১টা নাগাদ তৃণমূল আশ্রিত হার্মাদদের দ্বারা আক্রান্ত হয় তাঁর স্ত্রী সহ পুরো পরিবার। তার স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে অত্যাচার করা হয়েছে। এমনকি বাড়ির ঠাকুরদের মূর্তিও ভেঙ্গে দেওয়া হয়!”
হাসপাতালে ভর্তি, শয্যাশায়ী অবস্থায় অসুস্থ, আক্রান্ত গৃহকর্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ করেন, “আমার স্বামীর খোঁজে ওরা এসেছিল। স্বামী বাধ্য হয়ে পালিয়ে যায়। ওরা দলে অন্তত ৩০০ লোক ছিল। আমি জানলা দিয়ে কথা বলছিলাম। প্রথমে আমাকে শাসায় এখনই স্বামীকে বার করে না দিলে আমাকে বাঁচতে দেবে না।”
গৃহকর্ত্রীর অভিযোগ, “গ্রিল ভেঙ্গ ভিতরে ঢোকে ওরা। ঠাকুর, সমস্ত আসবাব, ভাতের হাঁড়ি, চাল-ডাল সব কিছু তছনছ করে দেয়। বিগ্রহগুলোকে বাঁশ, কাঠ, ইট দিয়ে ভেঙ্গে, গুঁড়িয়ে দেয়। ট্রাক্টর, উঠোনে নানা রকম গাছ—কিচ্ছু রক্ষা পায়নি ওদের তাণ্ডব থেকে। বাধা দিতে গেলে আমার ছেলেকে মেরে পা ভেঙ্গে দেয়। মেয়ের হাত মচকে দেয়।
গৃহকর্ত্রীর অভিযোগ, “ইট দিয়ে মারায় আমার দুই কান দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। আমার কাপড়চোপড় কিচ্ছু আস্ত রাখেনি। সব টেনে ছিঁড়ে দেয়। আমার স্বামীকে অনেক দিন ধরে ওরা মারব মারব করছিল। আমি ওকে বলেছিলাম বিজেপি ছেড়ে দিতে। ও শোনেনি। তাই বলে এভাবে এত ক্ষতি করবে?“ চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ করেন গৃহকর্ত্রী।