নীল বনিক, আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৪ মে: দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনার সাহায্য নেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলো রাজ্য যুবমোর্চা। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক সৌরভ শিকদার ট্যুইট করে মমতার সেনা স্মরনকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছে, জেলাতেও উদ্ধার কাজে সেনা নামানো উচিৎ।
প্রসঙ্গত, কলকাতা শহরকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে শনিবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাহায্য চায় রাজ্য সরকার। তারপরেই কলকাতায় নামে ভারতীয় সেসা। কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড ও রবীন্দ্রসরোবরে সেনা জওয়ানরা গাছ কেটে রাস্তা পরিস্কার করতে শুরু করে। সেইছবি টিভির পর্দায় আসতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমন করেন যুবমোর্চার কেন্দ্রীয় সম্পাদক সৌরভ শিকদার। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক সময় বলেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে কাজ করে। ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ মানুষের উপর অত্যাচার করছে। এমনকি তিনি বিএসএফের কাজ সবসময় লক্ষ রাখার জন্য একাধিকবার পুলিশকে বলেছেন। সবচেয়ে দু:খজনক ঘটনা দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে সেনাবাহিনী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে মহড়া চালিয়েছিল। মহড়ার কথা ফোর্টউইলিয়ামের তরফে কলকাতা পুলিশকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল। তারপরেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেনাবাহিনীর মহড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তা নিয়ে ব্যাপক বাকযুদ্ধ শুরু হয়। সেনাবাহিনী নিজেদের অবস্থান পরিস্কার রাখতে সাংবাদিক বৈঠক করে রুটিন মহড়া চলেছিল বলে জানিয়েছিল পর্যন্ত।
সৌরভবাবু বলেন, রাজ্যের ভোট হোক বা কাশ্মীরের উরি সেক্টরে হামলা বা বালাকোর্টের এয়ারস্ট্রাইক সবকিছু নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছিলেন। আজ ইতিহাসের কী পরিহাস, শনিবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেনার সাহায্য চাইলেন! তিনি বলেন, যুবমোর্চা সবসময় মনে করে এমন বিপর্যয়ে আগেই সেনাবাহিনীকে সামিল করা উচিৎ, কিন্তু রাজ্যসরকার তা করেনি।। শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যেই দুর্গতদের উদ্ধারে সেনা নামালে মানুষ উপকার পেত। এমন বিপর্যয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ একসঙ্গে কাজ করে মানুষকে উদ্ধার করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তুু এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সবসময় নিজে নম্বর বাড়াতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্রাত্য করেন বলে অভিযোগ যুবমোর্চার কেন্দ্রীয় সম্পাদক সৌরভ শিকদার।