আমাদের ভারত,আরামবাগ, ৬ মার্চ: বিজেপি করার ‘অপরাধে’ দলের এক মন্ডল সহ-সভানেত্রীকে কু-প্রস্তাব, শীলতা হানি মারধরও করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাঁকে এলাকা ছাড়া করার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে ওই বিজেপি নেত্রী অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ তৃণমূলের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা হুগলী জেলার আরামবাগের।
বিজেপির ওই মন্ডল সহসভানেত্রীর নাম সান্তনা পোড়েল। বাড়ি আরামবাগ গৌরহাটি দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বারোয়ারি কালীতলা এলাকায়।অভিযুক্ত দুই তৃণমূল কর্মীর নাম সঞ্জয় দাস, বলরাম দৌলুই। সান্তনা পোড়েল জানান, কয়েক বছর আগে তাঁর স্বামী মারা যান। তার দুই মেয়ে রয়েছে, দু’জনেই ছোট। দু’বছর আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। পরে তাঁকে বিজেপি থেকে মন্ডল সহ-সভানেত্রী করা হয়। অভিযোগ, তারপর থেকেই বিভিন্ন ভাবে তাঁকে হেনস্থা করছেন তৃণমূলের দুই কর্মী
সঞ্জয় দাস এবং বলরাম দৌলুই।তিনি বলেন, “বিজেপি করার জন্য আমার ওপর নানাভাবে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। রাস্তাঘাটে বেরোতে পারি না। রাস্তাঘাটে বেরোলে আমার কাপড় ধরে টানাটানি করে। সাইকেল থেকে ফেলে দেয়। পুকুরে স্নান করতে গেলে ওই দুইজন ছাড়াও তৃণমূলের লোকজন ঘাটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি। এলাকা ছাড়ার হুমকি দেওয়া হয়।”
কদিন আগে তাঁর বাড়ি ঢুকেও নাকি হেনস্থা করা হয়। তিনি বলেন, “আমার বাড়িতে ঢুকে গায়ে হাত দেয় কাপড় ছিঁড়ে আমার শ্লীলতাহানি করে। আমাকে মারধরও করে। আমার বাড়িতে মাঝে মধ্যে এসে রাতের বেলা বাড়িতে ঢুকে ভয় দেখানো হয়।”
তাঁর বক্তব্য, আরামবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
গৌরহাটি ২ নম্বর অঞ্চলের বিজেপির মন্ডল সভাপতি কিংকর পাল বলেন, আমাদের এক মণ্ডল সহ সভানেত্রীকে শ্লীলতাহানি থেকে শুরু করে মারধর করা এবং বিভিন্নভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি, পুলিশ কি ব্যবস্থা নেয়ে তা আমরা দেখছি। অন্যদিকে এই ঘটনায় সব ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কমল কুশারি বলেন, আমাদের দলের কেউ এই ঘটনায় জড়িত নয়, বিজেপি আমাদের ওপর মিথ্যা দোষ চাপাচ্ছে।