রাজেন রায়, কলকাতা, ১৩ সেপ্টেম্বর: ‘বিজেপি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। তাই যেখানে যে মারা যাচ্ছে টেনে নিয়ে বলছে সে বিজেপির কর্মী। আসলে বিজেপি মরা ধরার রাজনীতি করছে। ওরা এই রাজনীতিতেই বিশ্বাসী।’ রবিবার গোঘাটের বিজেপি কর্মীর রহস্য মৃত্যু ঘিরে এমনটাই মন্তব্য করলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তার পরিষ্কার দাবি, এখন কারোর অস্বাভাবিক মৃত্যু হলেই তাকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করছে বিজেপি।
এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ আরও বলেন, ‘যে কোনও মৃত্যুই অত্যন্ত দুঃখের। কেউ মারা গেছেন, তাতে কারোর মায়ের কোল খালি হয়েছে। কোনও বাবা ছেলে হারিয়েছেন। সে সময় যে কাউকে ধরে নিয়ে বিজেপি কর্মী বানিয়ে দিচ্ছে। বিজেপির কিছু উন্মাদ নেতা একই সঙ্গে আবার বলছে মেরে দেব, জ্বালিয়ে দেব, পুড়িয়ে দেবো বলে সন্ত্রাসের কথা বলছে। বাংলার মানুষ এই কথায় বিভ্রান্ত হবে না।’
ফিরহাদ এদিন অবসাদে না ভোগার জন্য বিজেপি না করার নিদান দিয়ে বলেন, ‘যারা বিজেপি করে তারা অবসাদে ভোগে। সেই কারণে নিজের অন্যায় বোধ হয়। গেরুয়া ঝান্ডা হাতে থাকলেও মনে অপরাধ বোধ থাকে। যে বিজেপি করলাম? মানুষকে ঘৃণা করলাম? ছোট বেলা থেকে যে শিক্ষায় বড় হলাম, তার অপমান করলাম। তখনই আসে অবসাদ। তাই বিজেপি না করাই ভালো।’
প্রসঙ্গত, রবিবার গোঘাটের রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকার একটি গাছে গণেশ রায় (৬০) নামে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ খুঁজে পায় স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে গাছ থেকে তার দেহ নামিয়ে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। গণেশ রায়ের পরিবারের দাবি, তাঁকে খুন করে গাছে টাঙিয়েছে শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। শনিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন এই বিজেপি নেতা। তারপর তাঁর আর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু অন্যান্য সময় বাড়ি থেকে কোথাও বাইরে গেলে পরিবারের লোকজনকে জানিয়ে যেতেন তিনি। সকাল থেকে এই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে ফের শোরগোল ফেলে দিয়েছে।