নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুর, ৯ ডিসেম্বর:
এবার ব্যারাকপুরে প্রকাশ্যে চলে এলো বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। বিজেপির ব্যারাকপুর জেলা সভাপতির গাড়ি ভাঙ্গচুর করার অভিযোগ উঠল বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। ওই দিন ব্যারাকপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডে বাংলাদেশে হিন্দুদের নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বঙ্গীয় হিন্দু রক্ষা সমিতির তরফ থেকে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় অংশ নিয়ে ছিলেন বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মনোজ ব্যানার্জি। অভিযোগ, সেই সময় ব্যারাকপুর মণ্ডল ২ এর প্রাক্তন সভাপতি গৌতম মণ্ডল তার ওপর হামলা করে। বঁটি দিয়ে মনোজ ব্যানার্জির গাড়ির কাঁচ ভেঙ্গে দেয় বলে অভিযোগ।
এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনা স্থলে আসে টিটাগড় থানার পুলিশ। যদিও গোটা ঘটনায় বিজেপি গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছেন মনোজ ব্যানার্জি। তাঁর দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি বিজেপি করত কিন্তু তাঁকে দল বিরোধী কাজের জন্য আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কি কারনে তার অপর চড়াও হয়েছিল ওই ব্যক্তি সেটা তিনি বুঝতে পারেননি। তৃণমূলের ইন্ধনে এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওই ব্যক্তি, দাবি মনোজবাবুর। অপর দিকে গোটা বিষয় নিয়ে ব্যারাকপুর পৌর সভার পৌর প্রধান উত্তম দাস পাল্টা দাবি করেন, বিজেপির নিজেদের মধ্যে সমস্যা আছে। বিজেপির নিজের মধ্যে ঐক্য নেই। ব্যারাকপুরে তৃণমূলের সহযোগিতা নিয়ে ওদের চলতে হয়।”
যদিও এই হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত গৌতম মন্ডলের অভিযোগ, “মনোজ ব্যানার্জি ইচ্ছা করে অর্জুন সিং কে হারিয়ে দিয়েছে। আবার নৈহাটি উপ নির্বাচনে মনোজ ব্যানার্জি টাকা নিয়ে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছে। আমি ওকে মারধর করিনি। আমি শুধু বলেছিলাম চোর হাটাও বিজেপি বাঁচাও। কিন্তু কারুর নাম করে বলিনি। আর সেটা শুনে ওর গায়ে লেগে যায় আর আমায় মারধর করে। আমি মনোজ ব্যানার্জির গাড়ির কাঁচ ভাঙ্গিনি। আর আমাকে দল কোনও দিন বহিষ্কার করেনি। আমি এখনো বিজেপি দল করি।”