রামপুরহাট থানায় হাজিরা দিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১৮ সেপ্টেম্বর: পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেওয়ায় রামপুরহাট থানায় হাজিরা দিতে হল বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলকে। দিনভর চলে জেরা। শুক্রবার দুপুরে থানায় হাজিরা দেন শ্যামাপদবাবু। সঙ্গে ছিলেন দলের কয়েকশো নেতা ও কর্মী।

প্রসঙ্গত, ৪ সেপ্টেম্বর রামপুরহাট মহকুমা শাসকের অফিসের সামনে গণতন্ত্র বাঁচাও কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। ওইদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্যামাপদবাবু নলহাটি থানার ওসি দেবব্রত সিনহাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “বিজেপিতে যোগদান করায় আপনি একজন ভিলেজ পুলিশকে সাসপেন্ড করেছেন। ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পর আপনার নাকে দড়ি বেঁধে আমরা ঘোরাব”। প্রকাশ্য সভা থেকে এই মন্তব্য করায় বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল এবং জেলা নেতা মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক তৃণমূল কর্মী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দু’বার রামপুরহাট থানায় ডেকে পাঠিয়ে দীর্ঘ জেরা করে পুলিশ।

এদিন ওই অভিযোগের ভিত্তিতে শ্যামাপদবাবুকে ডেকে পাঠানো হয়। দুপুর ১২ টায় রামপুরহাটে আসেন বিজেপির জেলা সভাপতি। প্রথমে সানঘাটাপাড়া দক্ষিণা কালীমন্দিরে মা কালীকে দর্শন করেন। এরপরে নেতা কর্মীদের বিশাল কনভয় নিয়ে রামপুরহাট থানায় হাজির হন। থানার ভিতর তিনি একজন আইনজীবীকে নিয়ে ঢোকেন। রাত গড়িয়ে গেলেও জেলা সভাপতিকে থানা থেকে মুক্তি না দেওয়ায় বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা রামপুরহাট শহরের কামারপট্টি মোড় অবরোধ করে। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর পুলিশের প্রতিশ্রুতিতে অবরোধ উঠে যায়।

থানায় ঢোকার সময় শ্যামাপদবাবু বলেছিলেন, “পুলিশ ডেকেছে তাই এসেছি”। এদিকে দীর্ঘক্ষণ ধরে জেলা সভাপতিকে জেরা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দলের নেতা কর্মীরা। খবর লেকাহ পর্যন্ত জেরা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *