সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৯ আগস্ট: দীর্ঘ দিন ধরে তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাঁত করে জেলায় কোনও সাংগঠনিক কাজ করছেন না বিজেপির বারাসত জেলা সাংঠনিক সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। এমনই অভিযোগ বিজেপির এক অংশের কর্মী সমর্থকদের। শুধু তাই নয়, শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণের দাবি তুলে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের কাছে স্মারকলিপিও জমা দিলেন তাঁরা।
বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বলেন, “সামনেই বিধানসভা ভোট। এই জেলায় কোনও রকম সাংগঠনিক কাজকর্ম হচ্ছে না। অথচ তৃণমূলের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন জেলা সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। এক বছর তিন মাস ধরে তিনি দলের সভাপতি হয়ে আছেন। শুরুতেই রাজ্যের মা ও বোনদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। তিনি যেখানেই সভা করতে যান সেখানেই দলের মধ্যে বিভাজন তৈরি করেন। দল নিয়ে জেলার নেতা কর্মীদের সঙ্গে কোনও মিছিল মিটিং করছেন না।” দলকে তৃণমূলের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন আন্দোলানকারীরা। শনিবার শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণের দাবিতে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তারা।
এই বিষয়ে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন, বিজেপির সাংগঠনিক কাজকর্ম নিয়ে অনেক দিন ধরে শঙ্করবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনছি। আজ কর্মীরা ক্ষোভের কথা আমার কাছে লিখিত আকারে জমা দিয়েছেন। আমি এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনবো।
অন্যদিকে বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাস দাবি করেন, এটা বিজেপির অন্তঃকলহ। বিজেপির প্রতিটা নেতা কর্মী দুর্নীতিগ্রস্ত তাদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের আঁতাঁত করার কোনও প্রয়োজন পড়ে না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, জেলা সভাপতির অপসারণ চেয়ে কেন সাংসদের বাড়িতে ডেপুটেশন। এক্ষেত্রে সাংসদ নিজের গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য নাটক করছেন।

