আমাদের ভারত, কলকাতা, ৬ জানুয়ারি: শুক্রবার সন্দেশখালিতে তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন ইডির অফিসাররা। আক্রান্ত ও আহত ইডি অফিসারদের কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকালে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল তাঁদের দেখতে হাসপাতালে যান।
ত়ৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি তদন্তকারীরা তল্লাশিতে গিয়েছিলেন। নেতার অনুগামী ও দুষ্কৃতিরা তাঁদের বেধড়ক মারধর করে। শেষমেশ কেউ কলাবাগান দিয়ে, কেউ ধান ক্ষেত দিয়ে ছুটে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। এমনকি ইডি অফিসারদের নিরাপত্তায় থাকা আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরাও কয়েকশ মারমুখী লোকের সামনে পড়ে পালিয়ে বাঁচেন।
শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যাণ্ডেলে শনিবার ছবি-সহ লিখেছেন, “গতকাল থেকে আমি জেলাগুলিতে পূর্বনির্ধারিত নানা কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, তাই বিজেপি বিধায়কদের পক্ষে কল্যাণীর বিধায়ক অ্যাডভোকেট অম্বিকা রায়; পুরসুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ ও খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ যেখানে গুরুতর আহত ইডি অফিসাররা চিকিৎসা নিচ্ছেন, কলকাতার সেই বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তাঁরা তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। আমরা প্রার্থনা করি, সাহসী এবং দক্ষ অফিসাররা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পশ্চিমবঙ্গ থেকে দুর্নীতি দূর করার ধর্মযুদ্ধে যোগ দিন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য দায়িদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে।“
শুক্রবার সন্ধে থেকে প্রথমে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, তার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও শেষে শনিবার সকালে বিজেপি-র প্রতিনিধিদল আহত ইডি অফিসারদের দেখতে হাসপাতালে যান। তার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে তাঁদের ছবি পোস্ট করেন।
সেই ছবিতেই দেখা যাচ্ছে যে অফিসারদের দুজনের মাথা ফেটেছে। তাঁদের মাথায় ব্যান্ডেজ করা রয়েছে। এঁদের মধ্যে একজনের চোট একটু বেশি বলে জানা গিয়েছে। আরও একজন অফিসারের ছবি পোস্ট করেছেন শুভেন্দুবাবু। তাঁরও মাথায় ব্যান্ডেজ করা। গলায় কলার লাগানো। সূত্রের খবর, তাঁর ঘাড়ে বা গলায় চোট লেগেছে।

