আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ৯ জুন: প্রশিক্ষণ নেই বিডিও অফিসের আধিকারিকদেরই। ফলে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে ফিরতে হল বিজেপির শতাধিক প্রার্থীকে। যদিও এর পিছনে শাসক দলের চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি। অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি বিডিও রাজীব পোদ্দার। মহকুমা শাসকের সাফাই আমাদের কাছে কোনো ডেমো পেপার নেই। শুক্রবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিন। কিন্তু প্রথম দিনেই ঘটল বিপত্তি। প্রয়োজনীয় টাকা জমা দিয়ে রশিদ কেটে ফর্ম তুলেও জমা দিতে পারলেন না রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের শতাধিক বিজেপি প্রার্থী।
বুধিগ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী স্বাত্তিক দাস, সাহাপুর
গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশ্বনাথ লেট বলেন, “আমরা বিডিও অফিসে গিয়ে রশিদ কেটে টাকা জমা দিই। এরপর ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে গেলে আধিকারিকরা নিতে অস্বীকার করেন। তাদের দাবি, ফর্ম যাচাই করার প্রশিক্ষণ নেই আমাদের। তাই নিতে পারব না। রাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তারপর ফর্ম জমা নেব”।
বিজেপি নেতা তারক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সমস্যার কথা শুনে আমরা বিডিও’র কাছে গিয়েছিলাম। দেখলাম তিনি ঠান্ডা ঘরে তৃণমূল নেতাদের নিয়ে গল্প করছেন। অনেকক্ষণ পর আমরা অফিসে ঢুকে বিডিওর সঙ্গে কথা বলি। তিনিও বলেন ‘তাঁর কাছে কোনো ডেমো ফর্ম নেই। ফর্ম পূরণের জন্য তিনি কখনও দোতলায় আবার কখনো তিনতলায় পাঠান। সারাদিন ধরে হয়রানি করেও ফর্ম জমা দেওয়া গেল না। কেউ কোনো রকম সহযোগিতা করেনি। আমরা এর পিছনে চক্রান্তের হাত দেখছি। আমরা এনিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযোগ জানাব”।
বিডিও রাজীব পোদ্দার বলেন, “এবিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। যা বলার মহকুমা শাসক বলবেন”।
মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস বলেন, “উনারা ডেমো ফর্ম চাইছিলেন। সেটা আমাদের কাছে নেই। প্রশিক্ষণ নেই এটা ঠিক নয়।”