তৃণমূলের রিপোর্ট কার্ড থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই নাড্ডার কনভয়ে হামলার ষড়যন্ত্র বিজেপির, দাবি সৌগত রায়ের

রাজেন রায়, কলকাতা, ১১ ডিসেম্বর: বৃহস্পতিবার সকালে তৃণমূল প্রকাশ করেছিল তাদের রিপোর্ট কার্ড। তাতে তুলে ধরা হয়েছিল তাদের ১০ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান। কিন্তু এতে যদি মানুষ তৃণমূলের ভালো কাজে প্রভাবিত হয়ে যান তাহলে ক্ষতি হতে পারে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপির। তাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তৃণমূলের কর্মসূচি বানচাল করতে বিজেপি গন্ডগোল পাকিয়েছে। শুক্রবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নাড্ডা কনভয়ে হামলা নিয়ে এই কথাই বললেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়।

রাজ্যজুড়ে একুশের নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। এরই মাঝে রাজ্য সফরে দু’দিনের জন্য এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে শিরাকোলে নাড্ডার কনভয়ে হামলার অভিযোগ তোলে বিজেপি। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার রাতেই দ্রুততার সঙ্গে সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সেখানে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন রাজ্যপাল, বলে জানা গিয়েছে। আর সেই রিপোর্ট হাতে পেয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং পুলিশ প্রধানকে তলব পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যদিও এদিন ঘটনার সঠিক তদন্ত হচ্ছে এবং ৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছে বলে সেই তলব প্রত্যাখ্যান করেছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডিজি বীরেন্দ্র। নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়ে বাইরে থেকে গাড়ি ঢুকে এই গন্ডগোল পাকিয়েছে বলে দাবি করেছেন আলাপনবাবু।

আজ সৌগত রায় তথ্য দিয়ে দাবি করেন, তৃণমূলের শাসনকালে ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক খুন কমেছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে একের পর এক রাজনৈতিক নেতা খুন হওয়ার পিছনে বিজেপিকে দায়ী করেছেন তিনি। এদিন সৌগতবাবু বলেন, “২০০১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত রাজনৈতিক খুনের সংখ্যা ছিল ৬৭০। ২০১১ থেকে ২০২০তে কমে সেই সংখ্যা হয়েছে মাত্র ১৫০। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে, আর্থিক অনটনে কেউ যখন আত্মহত্যা করেছে বিজেপি তখন বলছে তৃণমূল তাদের কর্মীকে খুন করেছে‌।”

বিজেপিকে এক হাত নিয়ে সৌগত রায় আরও বলেন, ‘গতকাল আমাদের রিপোর্ট কার্ড পেশ হয়। তার থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে বিজেপি এই গণ্ডগোল করেছে।’ একইসঙ্গে তাঁর দাবি, তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মত বৃহৎ কর্মসূচি কোথাও হয়নি। তিনি উল্লেখ করেন, এখনও পর্যন্ত ৫৬ লাখ লোক দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে এসেছে। এর মধ্যে ৬০% স্বাস্থ্য সাথীর জন্য আবেদন করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *