আমাদের ভারত, ৩ এপ্রিল: বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তার সঙ্গে ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহেড়ি। এক লক্ষেরও বেশি ভোটে জেতার বিষয় আশাবাদী সুকান্ত মজুমদার। আজ কয়েক হাজার মানুষের বিরাট বর্ণাঢ্য মিছিল করে গিয়ে তিনি মনোনয়ন জমা দেন।
বুধবার দুপুরে বালুরঘাট জেলাশাসকের অফিসে মনোনয়ন জমা দিলেন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। প্রবল দাবদাহকে উপেক্ষা করে কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক ঢাক ঢোল বাজিয়ে মঙ্গলপুর এলাকা থেকে বর্নাঢ্য মিছিল বের করে বালুরঘাট জেলা শাসকের অফিসে যান সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক কুমার লাহিড়ী, তপনের বিধায়ক বুধারাই টুডু, বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, বিপুল ভোটে জিতে এই আসন আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উপহার দেব। গতবারও দিয়েছি এবারও বিপুল ভোটে জিতে দেব। মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের উচ্ছ্বাস, অংশগ্রহণ, সংখ্যা, সকলেই দেখতে পেয়েছে। আমার সঙ্গে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা ছিলেন। এটা বিজেপিতেই সম্ভব যে একমাত্র একদিনের নোটিশে একজন মুখ্যমন্ত্রী উড়ে আসতে পারেন, এতটা পথ তিনি রোদের মধ্যে পায়ে হেঁটে আমার সাথে এলেন এটা বিজেপি বলেই সম্ভব। এর জন্য ডঃ মানিক সাহাকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আমাদের বিধায়করা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তাদেরকেও আমি ধন্যবাদ জানাই।”
সুকান্ত মজুমদারের আজকের মিছিলে একটি ট্রেনের ট্যাবলো ছিল। এর মাধ্যমে তিনি কোন বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী বলেন, “আমরা যেটা করি সেটাই আমরা বলি বা প্রচার করি। শিয়ালদা- বালুরঘাট ট্রেন যেটা এই জেলার মানুষের বহুদিন ধরে আশা ছিল। আমরা সেটাকে করেছি। দিল্লির ট্রেনও মানুষের বহুদিনের আশা আকাঙ্ক্ষা ছিল। সেটাও ঘোষণা হয়ে গেছে, চালু হওয়া সময়ের অপেক্ষা। এই ট্যাবলোকে আমরা মানুষের কাছে প্রচারের কাজে ব্যবহার করেছি।”
তৃণমূলের প্রার্থী লক্ষাধিক ভোটে জিতবেন বলে দাবি করেছেন। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, বিপ্লব মৈত্র মাত্র ৪০০ লোক নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে এসেছিলেন। সংখ্যা কম হয়েছে বলে মিছিলেও হাঁটেননি। ওনার ৪০০ লোকে যদি ১ লাখ মার্জিন হয়। তাহলে আমাদের লোকসংখ্যা আজ তার থেকে কত গুণ বেশি ছিল। তাহলে সেই হিসেবে অনুযায়ী ঐকিক নিয়মে মার্জিন কি হওয়া উচিত আমাদের, সেটা বোঝাই যাচ্ছে।” তিনি আরো বলেন, গতবার কর্মীরা প্রাণপণ লড়াই করেছেন এবং একুশেও আমরা তিনটে জিতে ছিলাম। এবার ৪০০ পার, মোদিজীর দেওয়া এই টার্গেট ফুলফিল করতে আমাদের বালুরঘাটে জিততে হবে। বালুরঘাটে বিপুল মার্জিন রাখতে হবে। এক লক্ষের বেশি মার্জিনে জিতে আমরা এই আসন প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেব।”
অন্যদিকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, সুকান্ত মজুমদার একজন স্বজ্জন ব্যক্তি। এই পশ্চিমবাংলার ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি ও সাংসদ। ওনার সঙ্গে পায়ে হেঁটে আমরা আজ মনোনয়ন জমা দিলাম। যেভাবে মানুষের মধ্যে সাড়া দেখেছি, তাদের মধ্যে যে উৎসার দেখলাম তাতে বোঝা গেল আগামী দিনের রেজাল্ট কি হতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রেজাল্ট এবার রাস্তা দেখাবে বলেও দাবি করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।