জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী জয় সাহার, বন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ

আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১ নভেম্বর: খড়দহ উপ নির্বাচন ঘিরে অশান্তি এখনও অব্যাহত। এবার বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধ খড়দহ থানা, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে মেলের মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করলেন খড়দহ বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে তাঁকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি।
.
প্রসঙ্গত, খড়দহ উপ নির্বাচনের দিন প্রয়াত বিধায়ক কাজল সিনহার ছেলে আর্যদীপ সিনহাকে মারধর করার ঘটনায় আহত আর্য দীপকে দেখতে হাসপাতালে যান বনমন্ত্রী। আক্রান্ত আর্যদীপকে দেখে এসে রাজ্যের মন্ত্রী জানান, ‘‌কাজল আমাদের খুব প্রিয় নেতা ছিলেন। মারা গিয়েছেন। তাঁর ছেলে আর্যদীপ সিনহা আক্রান্ত হলেন। তাঁর স্ত্রী নন্দিতা সিনহাকে মারতে গিয়েছিল। কত বড় স্পর্ধা?’‌ একই সঙ্গে তিনি জানান, ‘‌আমরা মনে করলে শুধু একটা মিনিট লাগবে। আঙুল ঘোরালেই কাজ কমপ্লিট। কিন্তু আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। তাই শান্তির বাতাবরণ বজায় থাকবে।’‌

সাংবাদিকদের সামনে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে জয় সাহা এই অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন। এদিন খড়দহের বিজেপি প্রার্থী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, “বনমন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে প্রকাশ্যে আমাকে খবর করে দেওয়ার, মনীশ শুক্লার মত আমাকেও খুন করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ভাবছেন এতদিন যে ভাবে বোমা গুলির রাজনীতি করেছেন তেমন ভাবেই বিজেপি দল ও আমাকে বোমা গুলি দিয়ে শেষ করবে। এই ভাবে আমাকে ভয় পাওয়াতে পারবে না। আমি জবাব চাই কি ভাবে একজন মন্ত্রী হয়ে উনি সবার সামনে এই ধরনের মন্তব্য করতে পারেন। তাই আমি খড়দহ থানা, ব্যারাকপুর কমিশনারেটে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ মেল করে দিয়েছি। আমি জানতে চাই যে উনি আমাকে কি ভাবে খবর করে দেবেন, আর তাই আমি আমার নিরাপত্তার ভার পুলিশ প্রশাসনের ওপর দিয়ে দিয়েছি। তাও যদি আমার বা আমার পরিবারের সদস্যদের ওপর কোনও কিছু হামলা হয় তার দায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও সৌগত রায়কে নিতে হবে।”

এদিন তিনি প্রয়াত বিধায়ক কাজল সিনহার ছেলে
আর্যদীপ সিনহাকে মারধর করার প্রসঙ্গে আরও একবার বলেন, যে উনি কাজল সিনহার পুত্রকে মারধর করেননি। বরং বন্দিপুরে এক ভুয়ো ভোটারকে ধরেছিলাম তখন তাকে বাঁচানোর জন্য তৃণমূল কর্মীরা তার ওপর চড়াও হয়। আর তখন কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠি চার্জ করে।

তবে তিনি এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন তোলেন, “কাজল সিনহার ছেলের ১৬ বছর বয়েস হলে তিনি তৃণমূল কর্মীদের সাথে বুথের সামনে কি করছিলেন। কারণ তার তো ভোটাধিকার হয়নি। সে ওই এলাকার বাসিন্দাও না। তাই সেটা আগে খতিয়ে দেখা দরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *