স্নেহাশিস মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া, ২৫ নভেম্বর:
বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে লাথি মেরে ঝোপে ফেলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই তাঁকে মারধর করে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়। এব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি।
সোমবার সকাল থেকেই ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত করিমপুর। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মীরা ভোট লুট করতে একত্রিত হয়েছে। সেই অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত করতে গিয়ে বিজেপির প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার আক্রান্ত হন। তাঁকে রাস্তার উপর কিল, চড়, ঘুসি মারা হয় পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই। এরপর তাঁকে টানতে টানতে একটি ঝোপের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আর একদফা মারধর করে লাথি মেরে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়। তারপরেই কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।
জয়প্রকাশ মজুমদার অভিযোগ করেন, বুথের পাশেই একটি ঘরে জড়ো হয়েছিল জনাকুড়ি তৃণমূল সমর্থক। তাদের চ্যালেঞ্জ জানাতেই মারধর করা হয়। তিনি জানান, যতই বাধা আসুক, যেখানে রিগিংয়ের খবর পাবেন, সেখানেই যাবেন।
এব্যাপারে কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি।
ঘটনার প্রতিবাদে কৃষ্ণনগর পৌরসভার সামনে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, হেরে যাওয়ার ভয়ে বিজেপি প্রার্থীকে মারধর করেছে। অন্যদিকে তৃণমূলের নদীয়া জেলা পর্যবেক্ষক রাজিব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়তো সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা। মানুষ এর জবাব দেবে।
জয়প্রকাশ মজুমদারকে মারধরের ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।