আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ১১ সেপ্টেম্বর: এবার তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হলেন বিজেপির এক স্থানীয় নেতা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা থানার অন্তর্গত বালি ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরাখণ্ডের বাসিন্দা বিজেপি নেতা ভক্তরাম মন্ডলকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালের এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, দিন তিনেক আগে এলাকায় ত্রাণ বিলি নিয়ে ভক্তরামের সাথে বচসা বাধে এলাকার তৃণমূল নেতা তথা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী জগন্নাথ মন্ডলের। সেই সময় জগন্নাথ ভক্তরামকে শাসিয়ে গিয়েছিল। বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরলেই তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার পর দুদিন কাটতে না কাটতেই এদিন সকালে ভক্তরাম বাড়ি থেকে বের হলেই অভিযুক্তরা তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে। সাথে সাথেই স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এ বিষয়ে পুলিশকে জানালে গোসাবা থানার পুলিশ ঐ বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করে গোসাবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিজেপির অভিযোগ, এলাকায় বিজেপি দল করার অপরাধেই তাদের উপর হামলা চলছে। গোসাবা বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন প্রান্তেই মাঝে মধ্যে বিজেপি কর্মীদের উপর পরিকল্পনা করে হামলা চালানো হচ্ছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব জেলার বিজেপি সভাপতি হরিকৃষ্ণ দত্ত বলেন, “আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের হার নিশ্চিত জেনেই এলাকায় এই সমস্ত অশান্তি শুরু করেছে তৃণমূল। বিজেপি কর্মীদের উপর প্রতিনিয়ত হামলা করা হচ্ছে।”
যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। তিনি দাবি করেন, “ তৃণমূলকে বদনাম করার জন্যই বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে। মথুরাখন্ড গ্রামে কোনও বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়নি। কারো পারিবারিক বিবাদের জেরে অশান্তি হতে পারে, এই ঘটনায় তৃণমূল জড়িত নয়।”