সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১০ জানুয়ারি: স্হানীয় বেকারদের নিয়োগ না করে কারখানা চালু ও তাদের নিয়োগের দাবিতে কারখানার সামনে বিজেপির বিক্ষোভ অবরোধকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা বড়জোড়ার ঘুটগড়িয়াতে। পুলিশের আশ্বাসের পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। কারখানা উদ্বোধনের মাত্র দু’দিনের মাথাতেই এধরনের বিক্ষোভ অবরোধে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
গত সোমবার বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলের ঘুটগোড়িয়াতে পেন্ডরোল রাহী প্রেসিশিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি বিদেশী সংস্থার রেলের যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানার উদ্বোধন হয়। বড়জোড়ার বিধায়ক অলক মুখার্জি ও বিডিও কার্তিক চন্দ্র রায়কে সাথে নিয়ে কারখানা উদ্বোধন করেন ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার ড: অ্যানড্রিউ ফ্লেমিং। এদিন বিজেপির বড়জোড়া ১নং মন্ডলের সভাপতি গোবিন্দ ঘোষ, বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ কর ও স্থানীয় কিছু মহিলা ও পুরুষ দিন মজুর সঙ্গে নিয়ে কারখানা গেটের সামনে বসে পড়েন। যার ফলে সকাল থেকেই ভিতরে কেউ প্রবেশ করতে পারেননি। এই খবর শোনার পর কর্তৃপক্ষের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা কেউ কারখানামুখো হননি। পুলিশ আধিকারিকরা এসে বিক্ষোভ তুলে নিতে বললে তাদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ ৩ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সেই সময় মহিলারা বাধা দিতে গেলে তাদের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় পুলিশের। সঙ্গে থাকা মহিলা পুলিশরা তাদের ছত্রভঙ্গ করেন।
অবরোধকারীদের দাবি, কর্তৃপক্ষকে এসে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। গোবিন্দ ঘোষ বলেন, স্থানীয় বেকাররা কাজ না পেলে কী লাভ শিল্প করে। অবিলম্বে স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ করে স্থানীয়দের কর্ম সংস্থান করতে হবে। পরে পুলিশি আশ্বাস পাওয়ার পর দুপুর ১২টা নাগাদ তারা বিক্ষোভ তুলে নেন। গোবিন্দ ঘোষের দাবি, সেপ্টেম্বর মাস থেকে কারখানার ট্রায়াল শুরু হয়েছে। তখন থেকে আমরা লিখিত ভাবে সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় জানিয়ে এসেছি নিয়োগ পদ্ধতি তৈরি করা, স্বচ্ছভাবে স্থানীয়দের নিয়োগ করতে হবে। ৪ মাস পর দেখলাম শাসক দলের বিধায়ক ও নেতাদের নিয়ে উদ্বোধন করে রফা করে নিলেন।
বড়জোড়ার বিধায়ক অলক মুখার্জি বলেন, যারা শুরু থেকে কাজ করছিলেন তেমন ৩৫ জন ও লোডিং আনলোডিংয়ের জন্য ১৪ জন স্থানীয় ছেলে কাজ পেয়েছেন। ধাপে ধাপে আরো নিয়োগ হবে। অলকবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে বিজেপি নেতারা এই কাজ করছেন। কিন্তু মানুষ তা হতে দেবে না।

