আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ২২ নভেম্বর:
এলাকায় জয়শ্রী রাম বলার অপরাধে এক বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ ভবেন মণ্ডল নামে ঐ বিজেপি কর্মী বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলি থানার অন্তর্গত নলগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাটিকারি গ্রামে। অভিযুক্ত দীনেশ ভুঁইঞা, দেবা ভুঁইঞা, দেবাঞ্জন ভুঁইঞাদের বিরুদ্ধে কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
অভিযোগ, শুক্রবার বাজার থেকে রেশন ধরে বাড়ি ফিরছিলেন ভবেন মণ্ডল। রাস্তায় এক পরিচিত বিজেপি কর্মী তাকে উদ্দেশ্য করে জয়শ্রী রাম বলে কুশল বিনিময় করেন। সেই উত্তরে ভবেন মণ্ডল ও জয়শ্রী রাম বলেন। অভিযোগ এরপরেই অভিযুক্ত দীনেশ, দেবা, দেবাঞ্জন ও তাদের অনুগামীরা আচমকা চরাও হন ভবেনের উপর। কিল, চড়, ঘুষি মারতে থাকেন তাকে। এলাকায় কেন জয়শ্রী রাম বলেছেন তিনি সেই অভিযোগ তুলে চলতে থাকে বেদম মার। কোনক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান এই বিজেপি কর্মী। ঘটনার পর গুরুতর জখম অবস্থায় জামতলা হাসপাতালে ভর্তি হন চিকিৎসার জন্য। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই বুকের এক্সরে ও মাথার সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে ভবেনের।
ভবেন বলেন, “ আমি জয়শ্রী রাম বলেছি বলেই আমার উপর হামলা হয়েছে। রাস্তায় ফেলে কিল, ঘুষি, চড়, লাথি মেরেছে ওরা”। এই ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্কিত ভবেনের পরিবার। ঘটনার খবর পেয়েই দক্ষিণ ২৪ পরগণার পূর্ব সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুনিপ দাস জামতলা হাসপাতালে যান আক্রান্ত কর্মীকে দেখতে। তিনি বলেন, “তৃণমূল এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব করছে। এলাকায় বিজেপি কর্মীদের উপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার করছে। পুলিশ প্রশাসন সব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না”।
যদিও বিজেপির তোলা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা কুলতলি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি গোপাল মাঝি। তিনি বলেন, “ এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত নয়। পুলিশ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করুক”।