রামপুরহাটের দুই ধর্ষিতা কিশোরীর পাশে বিজেপি, বামফ্রন্ট

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১২ জানুয়ারি: গণধর্ষিতা দুই কিশোরীর পরিবারের পাশে দাঁড়াল বিজেপি। মঙ্গলবার দু’দফায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেখা করে যান এক সাংসদ সহ দুই বিজেপি নেত্রী। ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন বিজেপি নেতা নেত্রীরা। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

প্রসঙ্গত, বীরভূমের রামপুরহাট থানার উপর রাণীগ্রামে শনিবার সন্ধ্যেয় দুই কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে সাত কিশোরের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরের দিন দুই কিশোরীকে ভর্তি করা হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই গ্রামে গিয়ে ছয় কিশোরকে গ্রেফতার করে। একজন পলাতক। সোমবার তাদের সিউড়ি জুভেনাইল আদালতে তোলা হলে বিচারক প্রত্যেককে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বহরমপুর বোস্টেল স্কুলের হোমে রাখার নির্দেশ দেন। ২৭ তারিখ ফের তাদের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার সকালের দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই দুই কিশোরীকে দেখতে রামপুরহাটে আসেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু, বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি মাফুজা খাতুন। দুপুরের দিকে আসেন বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্র পাল। তারা কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।

অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “রাজ্য ধর্ষণ হলেই মুখ্যমন্ত্রী বা তার সাংসদরা তাকে ছোট ঘটনা কিংবা দেহ ব্যবসায়ী বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। ধর্ষণ মানেই মেয়েটাই দোষী বলে উনারা ধরে নিয়েছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিযোগ পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে না। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে পুলিশ অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করলে তাকে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এখন আবার তারা বিজেপির মহিলা কর্মীদের গায়ে হাত দিচ্ছে। শ্লীলতাহানি করছে। বাংলার মানুষ সন্ত্রাস, কু-ভাষা পছন্দ করে না। আমরা সুশাসন চাই। আর বাংলার মানুষ জানে সুশাসন একমাত্র বিজেপি দিতে পারে। তাই আর কয়েক মাস পরেই রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। আমরা দুই কিশোরীর পাশে আছি। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব”।

মাফুজা খাতুন বলেন, “আমরা কিশোরীর মায়ের সঙ্গে কথা বললাম। আমরা ন্যায় বিচারের জন্য যতদূর জেতে হয় যাব”।

এদিকে এদিন ধর্ষিতার গ্রামে যান বাম সমর্থিত মহিলা সমিতির জেলা সভানেত্রী কেনিজ রবিউল ফতেমা এবং যুব ফেডারেশনের জেলা সভাপতি অমিতাভ সিং। তারাও পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *