আমাদের ভারত, ২০ ডিসেম্বর:কলকাতা পুরভোটের সন্ত্রাসের অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে বিজেপি ও সিপিআইএম। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের কাছে মামলার অনুমতিও পেয়েছে তারা।
পুরভোটে সন্ত্রাস এবং কারচুপির অভিযোগ তুলে সোমবার হাইকোর্টের কাছে এই বিষয়ে মামলা করার অনুমতি চায় ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী দেবলিনা সরকার। অন্যদিকে আলাদাভাবে একই আবেদন জানান বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। দুটি আবেদনই মঞ্জুর করেছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। আগামী ২৩ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
সোমবার বিজেপির আইনজীবী বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচন হয়নি। বোমাবাজিতে জখমের ঘটনা ঘটেছে। আদালত সমস্ত বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিলেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন তা মানেনি। বহু বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা ঠিকভাবে কাজ করেনি। এই বিষয়ে তথ্য প্রমাণ আমরা আদালতের কাছে জমা দিয়েছি। রবিবারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা পুরভোটকে স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় প্রহসনের নির্বাচন বলে দাবি করে ভোট বাতিলের দাবিতে আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত , রবিবার কলকাতা পৌরসভা ভোটে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বোমাবাজির ঘটনা ঘটে।শিয়ালদহ- বেলেঘাটায় বোমাবাজি হয়। টাকি বয়েজ স্কুলের সামনে বোমাবাজিতে জখম হন দুজন। একজন তার পা হারান। ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে। বিরোধীরা শাসকদলের বিরুদ্ধে পোলিং এজেন্ট বসতে বাধা দেয়ার অভিযোগ করে। মারধরের অভিযোগ করে। জোড়াসাঁকোতে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মীনা দেবীর পুরোহিতের ব্লাউজ-শাড়ি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এল এল এ হোস্টেলে তালা বন্দী করে রাখার অভিযোগ ওঠে একদল বিজেপি বিধায়ককে। এরপর বিরোধীরা পুরভোটের পুনর্নির্বাচনের দাবিতে সরব হন। তবে বিরোধীদের দাবি খারিজ করে দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য কোনো পুনর্নির্বাচন হবে না। প্রত্যেক বুথে তথ্য খতিয়ে দেখা হয়েছে, তারপর সিদ্ধান্ত এই নেওয়া হয়েছে বলে তাদের দাবি। যে কোনো বুথে পুনর্নির্বাচন করার মত পরিস্থিতি নেই। কিন্তু এবার বিজেপি সিপিএম পর পর হাইকোর্টে ভোট সন্ত্রাসের অভিযোগে নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলো।