আমাদের ভারত, ২১ জুলাই: পুরুলিয়া জেলার আড়ষা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা বিষ্ণু কুমারকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রয়োজনে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।
গত ১৬ জুলাই ২০২৫ একটি মোবাইল চুরির মিথ্যা অভিযোগে পুরুলিয়ার আড়ষা থানায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মাধ্যমে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। এ কথা জানিয়ে শুভেন্দুবাবু সোমবার এক্সবার্তায় বিষয়টি সবিস্তারে লিখেছেন।
শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, “বিষ্ণুবাবু তার ভাইকে নিয়ে থানায় গেলে থানায় তাঁকে তাঁর ভাইয়ের সামনেই বেধড়ক মারধর করা হয় এবং পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। থানা থেকে বাড়ি ফেরার পর বিষ্ণুবাবুর খাওয়াদাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল সন্ধ্যায় তাকে সিরকাবাদ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে বিষ্ণুবাবুকে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বিষ্ণু কুমারের মৃত্যুর পর ওনার পরিবারের লোক থানায় দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য অভিযোগ জানাতে গেলে থানায় সেই অভিযোগ নেওয়া হয়নি। ওনার পরিবারের লোকজনের বক্তব্য; যে মোবাইলটি চুরির অভিযোগ ছিল ওনার বিরুদ্ধে সেটি নাকি উনি কুড়িয়ে পেয়েছিলেন। থানায় একবার ডাকতেই গিয়ে হাজির হন। তবুও ওনাকে এই ভাবে বেধড়ক মারলো কেন? শুধুমাত্র গরিব মানুষ বলে?
এই হল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের প্রকৃত অমানবিক রূপ। শাসকের দলদাস পুলিশের মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার বিষ্ণুবাবু। থানায় কোনো আসামীর উপর কোনো রকম অত্যাচার বা মারধর আইনত অপরাধ। থানা কেন অভিযোগ গ্রহণ করলো না? নিজেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বলে?
আমি এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। এই দলদাস চটিচাটা পুলিশের সৎ সাহস নেই শাসক দলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার, কিন্তু গরিব মানুষ দেখলে এদের হাত নিশপিশ করে। অবিলম্বে থানার ওসি সহ ওই দিন থানায় কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার, সিভিক ও অন্যান্য কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করছি। প্রয়োজনে বিচারবিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত।
দোষীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির পথ প্রশস্ত করতে পরিবারের লোকজন কলকাতার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই রওনা হয়েছেন। আমি ওনাদের আইনি সহযোগিতা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ওই থানার তৎকালীন কর্তব্যরত আধিকারিকদের জেল হওয়া উচিত।”